Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘অর্ধেকটা বোঝেন, অর্ধেকটা বোঝেন না,’ দিলীপকে নিশানা ক্ষুদ্ধ সৌমিত্রর

BJP MP Saumitra Khan: বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও ছেড়ে কথা বলেলনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই নেতা।

'অর্ধেকটা বোঝেন, অর্ধেকটা বোঝেন না,' দিলীপকে নিশানা ক্ষুদ্ধ সৌমিত্রর
অলংকরণ-অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2021 | 4:59 PM

কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের দিনই বোমা ফাটালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। প্রথমে ফেসবুকেই ঘোষণা করে যুব মোর্চার পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে রীতিমতো বোমা ফাটান তিনি। সরাসরি নিশানায় নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শুভেন্দুর জন্যই তিনি সংগঠনে থেকে কাজ করতে পারছেন না, এমনটাও দাবি করেছেন সৌমিত্র। এমনকী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও ছেড়ে কথা বলেলনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই নেতা।

ভিতর ভিতর আগুন যে লেগেছে, সেটা সৌমিত্রর ফেসবুক পোস্টেই ইঙ্গিত মিলেছিল। কিন্তু ক্ষোভের দাবানল যে ছড়িয়ে পড়েছে, সেটা বোঝা যায়নি। সাংসদের ফেসবুক লাইভে সেটা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। রাজ্য বিজেপিতে যেভাবে শুভেন্দু ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছেন, তা দলের পরিকাঠামোকেই নষ্ট করছে বলে ইঙ্গিত করেছেন সৌমিত্র। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বুধবার বলেন, “বিধানসভার বিরোধী দলনেতা যিনি হয়েছেন, তিনি নিজেকে জাহির করছেন দলকে জাহির করছেন না। যেভাবে চলছে, তাতে যুব মোর্চায় থেকে কাজ করা খুব মুশকিল ছিল।”

নাম না করে সোজাসুজি শুভেন্দুকে নিশানায় নিয়ে সৌমিত্র বলেন, “এখন যিনি নেতা হয়েছেন, তিনি পুরো ফোকাসটা নিজের দিকে নিয়ে চলে গিয়েছেন। বিজেপিতে এসেছি, কোনও লোভ নিয়ে আসিনি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটাই যে, তিনি বারবার দিল্লি গিয়ে নেতাদের ভুল বুঝিয়ে দেখাচ্ছেন যে তিনি বড় নেতা। তৃণমূলে থাকতেও তিনি দেখিয়েছিলেন তিনি বিরাট বড় নেতা।” এরপরই দিলীপ ঘোষের উদ্দেশ্যে ব্যঙ্গাত্মক সুরে সৌমিত্র বলেছেন, “আমাদের মাননীয় সভাপতিকে বললেও তিনি অর্ধেকটা বোঝেন, অর্ধেকটা বোঝেন না। বাংলায় বিজেপি যেভাবে চলছে, তাতে ভাল কিছু হবে না।”

আরও পড়ুন: ‘দিল্লিতে ভুল বোঝাচ্ছেন শুভেন্দু, তার জন্যই…’ বিস্ফোরক সৌমিত্র

সৌমিত্রর এই মন্তব্যকে যদিও তাঁর ‘ব্যক্তিগত’ মন্তব্য বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। বিজেপি সূত্রে খবর, তিনি এখনও পর্যন্ত সংগঠনের কোনও নেতাকে পদত্যাগপত্র পাঠাননি। ‘অবসাদ’ থেকেও এই মন্তব্য সৌমিত্র করে থাকতে পারেন বলে জানান জয়প্রকাশ। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় জায়গা না পেয়েই এই চরম পদক্ষেপ করে থাকতে পারেন সৌমিত্র। বাংলার চার সাংসদ ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন। সেই তালিকায় নাম রয়ে শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার, জন বার্লা এবং নিশীথ প্রামাণিকের। অন্যদিকে, মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী রায়।

আরও পড়ুন:  ‘আমাকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে, তাই দিয়েছি’, মন্ত্রিত্ব খুইয়ে মন খারাপ বাবুলের