BJP in Assembly: সাবিত্রীর মন্তব্য নিয়ে উত্তাল বিধানসভা, ‘ভুল বলিনি’, সাফাই বিধায়কের
BJP in Assembly: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই সেই বক্তব্যের ভিডিয়ো টুইট করেছেন। আর সোমবার সকাল থেকে সেই ইস্যুকে ঘিরেই সরগরম হয়ে উঠল বিধানসভা।
কলকাতা : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অপমানের অভিযোগ তুলে বিধানসভায় সরব হল বিজেপি (BJP)। তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের (Sabitri Mitra) মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এদিন উত্তাল হয় বিধানসভা। তবে অধিবেশন মুলতুবির প্রস্তাব আনা হলেও, তা গৃহীত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সম্পর্কে এক বিশেষ মন্তব্য করায় সাবিত্রীর বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই সেই বক্তব্যের ভিডিয়ো টুইট করেছেন। আর সোমবার সকাল থেকে সেই ইস্যুকে ঘিরেই সরগরম হয়ে উঠল বিধানসভা।
অভিযোগ, সম্প্রতি মালদহের রতুয়ায় এক সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘দুর্যোধন-দুঃশাসন’ বলে কটাক্ষ করেছেন সাবিত্রী। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতা সংগ্রামে গুজরাটের কোনও অবদান ছিল না বলে সে রাজ্যের মানুষদের ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলার অধিকার নেই, এমন মন্তব্যও করতে শোনা গিয়েছে সাবিত্রীকে।
বিরোধীরা এদিন এই ইস্যুতেই বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন। এই ইস্যুতে বেশ কিছুক্ষণ বিবাদ চলে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা কক্ষ। এরপরই সাবিত্রী মিত্রকে বক্তব্য পেশ করার অনুমতি দেন স্পিকার। সাবিত্রী বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেন, বিরোধী দলনেতা তাঁর সম্পর্কে ভুল টুইট করেছেন। গুজরাট স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়নি, এমন কিছু বলতে চাননি তিনি। এটা রাজ্যের ইস্যু নয় মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ। এরপরই কক্ষের বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা।
এদিন অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেন, সেখানে একটা রাজ্যের বিষয় হবে কী করে?’ তাঁর দাবি, সাবিত্রী মিত্র ক্ষমা না চেয়ে উল্টে সাফাই দিলেন বিধানভায়। এই প্রসঙ্গে সাবিত্রী বলেন, ‘আমি কিছু ভুল বলিনি। ভারতীয় সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই যা বলার বলেছি। ওরা সতর্ক করলে আমিও সতর্ক থাকব। ওরা তৃণমূলকে বলছে কুকুরের দল, মুখ্যমন্ত্রীকে বলছেন শূর্পণখা, তাতে কোনও সমস্যা নেই?’
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে মন্ত্রী অখিল গিরির বিতর্কিক মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল শাসক শিবিরকে। সেই ইস্যু নিয়েও অধিবেশনে আলোচনা হয়েছে। আর এবার আরও এক বিধায়কের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানালেন বিরোধীরা।