
কলকাতা: অনুপ্রবেশ নিয়ে তৃণমূলকে লাগাতার নিশানা করে চলেছে বিজেপি। এমনকি, কয়েকদিন আগে কলকাতায় এসে এই নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তারই জবাব দিতে দিয়ে অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আর সেই আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁর একটি মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক বেধেছে। তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। এমনকি, মহুয়ার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজেপির অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে গতকাল অমিত শাহর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে নিশানা করেছিলেন মহুয়া। অনুপ্রবেশ হয়ে থাকলে তার দায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বলে তিনি মন্তব্য করেন। কারণ, সীমান্তের সুরক্ষার বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে আক্রমণ করতে গিয়েই মহুয়ার একটি মন্তব্যে বিতর্ক বাধে।
মহুয়ার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার। একইসঙ্গে তিনি জানান, এই নিয়ে লোকসভার অধ্য়ক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি লিখবেন। আবার বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীও টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
মহুয়ার মন্তব্যের নিন্দা করেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “তাঁর কথা শুনে হচ্ছিল, উগ্রপন্থী কোনও সংগঠনের মুখপাত্রের মতো কথা বলছেন।” মহুয়ার মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শতরূপা এবং মিডিয়া কো-ইনচার্জ কেয়া ঘোষ। মহুয়াকে আক্রমণ করে শতরূপা বলেন, “দু-চারকলি ইংরেজি বললে যে উচ্চশিক্ষিত হওয়া যায় না, তার প্রমাণ তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র।” কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদকে গ্রেফতারের দাবি জানায় বিজেপি। অনুপ্রবেশে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ করেন শতরূপা।