Samik Bhattacharya: সকাল-সকাল বিপর্যস্ত উত্তরের দিকে রওনা দিলেন শমীক, বিমানে ওঠার আগে দিলেন বার্তা
Samik Bhattacharya in North Bengal: সোমবার সকালে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সরাসরি আক্রমণ করেন তৃণমূলের দিকে। উত্তরে যখন নেমেছে বিপর্যয়, কলকাতায় তখন চলছে কার্নিভাল। আপাতত সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার থেকেই আক্রমণাত্মক হয়েছেন তিনি। যা বজায় থাকল সোমের সকালেও।

কলকাতা: উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। টানা বৃষ্টি ও ভূমিধসে জেরবার দার্জিলিং, কালিম্পং ও মিরিক। মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে উত্তরোত্তর। রবিবার সন্ধ্য়া পর্যন্ত পাওয়া আপডেট অনুযায়ী, উত্তরের বিপর্যয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। আর এই আবহে সেই পথেই রওনা দিলেন বিজেপির এই রাজ্যসভার সাংসদ।
সোমবার সকালে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সরাসরি আক্রমণ করেন তৃণমূলের দিকে। উত্তরে যখন নেমেছে বিপর্যয়, কলকাতায় তখন চলছে কার্নিভাল। আপাতত সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার থেকেই আক্রমণাত্মক হয়েছেন তিনি। যা বজায় থাকল সোমের সকালেও।
শমীক বললেন, ‘এই সরকারের কাছ থেকে মানবিক মুখ প্রত্যাশা করা মূর্খামি। এরকম অসহিষ্ণু, প্রতিহিংসা পরায়ণ এবং অযোগ্য সরকার ভারতবর্ষের কোনও রাজ্য আগে দেখেনি। উত্তরবঙ্গের মানুষের চোখের জল মোছানোর জন্য এই সরকারের কোনও প্রচেষ্টা ছিল না, আর নেইও। ভুটানের মানুষ এসে ডুয়ার্সের জঙ্গলের কাঠ কেটে নিয়ে যায়নি? নদীগুলি থেকে বালি তুলে নিয়ে যায়নি? ধ্বংস করেছে গোটা উত্তরবঙ্গকে। এই সরকারের প্রতি উত্তরবঙ্গের মানুষের কোনও আস্থা নেই।’
রবিবারই উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সহযোগিতার পথ খুলতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। সেই চিঠিতে উত্তরে বিপর্যয়কে ‘স্টেট ডিজ়াস্টার’ বলে ঘোষণা করার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, দার্জিলিং-ডুয়ার্সে চলা পরিস্থিতিকে রাজ্য স্তরীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করলে কেন্দ্র সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারবে। আর এই একই কথা শোনা গেল শমীকের মুখেও। তিনি বললেন, ‘কেন্দ্র সরকার যা করার করছে। রাজ্য সরকার যদি মনে করে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়াবে, তা হলে দাঁড়াতে পারে।’
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরেই উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রবিবারই টিভি৯ বাংলাকে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এদিন দুপুর ৩টের সময় বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। আর শুধুই মমতা-শমীক নয়। রাজভবন সূত্রে খবর, একই দিনে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। হায়দরাবাদ থেকে সরাসরি বাগডোগরা যাবেন তিনি। ইতিমধ্যেই উত্তরে বিপর্যয়ের উপর নজর রাখতে রাজভবনে তৈরি হয়েছে ‘পিস রুম’।
