‘ভ্যাকসিনেও ভাগাভাগি’ প্রাতঃভ্রমণে বাইক চালিয়ে কটাক্ষ দিলীপের
দিলীপ আরও বলেন, "সাধারণ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে সাড়ে ৩ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, রাজনৈতিক নেতাদের জন্য প্রথমে নয়।"
কলকাতা: বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রাতঃভ্রমণে বরাবরই চমক থাকে। কখনও গল্ফ খেলতে ব্যস্ত, কখনও বাই-সাইকেলে। বাঙালি রাজনীতিবিদদের এমন ভূমিকায় সচারচর দেখা যায় না। রবিবারের সকালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ দিন কালো সানগ্লাস পরে দাবাং ভূমিকায় রয়্যাল এনফিল্ড চালিয়ে মন জয় করে নিলেন নেটিজেনদের। মোটর সাইকেলে স্টার্ট দিয়েই রসিকতা সুরে দিলীপ ঘোষ বললেন, সামনে থেকে সরে যাও, কাটা পড়ে যাবে।
এ তো ছিল তাঁর শরীরচর্চার একটা পর্ব। প্রতিদিনের মতো এদিনও জনসংযোগ করতে গিয়ে মমতা সরকারকে নিশানা করতে ভোলেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। শনিবার দেশজুড়ে টিকাকরণে তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের টিকা নেওয়া নিয়ে জোর তরজা চলে রাজনৈতিক মহলে। এ প্রসঙ্গে এ দিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওনার নেতারাই সব ভ্যাকসিন নিয়ে নিলে কম তো পড়বেই। কেন্দ্রের টাকা আসলে আগে ভাগাভাগি হয়ে যায়। ভ্যাকসিনও তাই হচ্ছে।”
‘সরে যাও কাটা পড়বে’ প্রাতঃভ্রমণে রয়্যাল এনফিল্ডে দিলীপ।@DilipGhoshBJP | #TV9Bangla pic.twitter.com/1j5gOg6dAF
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) January 17, 2021
দিলীপ আরও বলেন, “সাধারণ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে সাড়ে ৩ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, রাজনৈতিক নেতাদের জন্য প্রথমে নয়। প্রাণের ভয়ে বিধায়ক-চেয়ারম্যান নিয়ে নিচ্ছে।” উল্লেখ্য, শুধুই তৃণমূলের বিধায়কের বিরুদ্ধে টিকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এমনটা নয়। সে তালিকায় রয়েছে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সাংসদ মহেশ শর্মা। যদিও তাঁর দাবি, সাংসদ হিসাবে নন, একজন চিকিৎসক হিসাবে এ টিকা নিচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন- শাহ-নাড্ডার দেওয়া হোমওয়ার্ক কদ্দুর? দিলীপদের নিয়ে বৈঠকে কৈলাস-মেননরা
এ দিন রাজীব প্রসঙ্গে নরম সুর শোনা গেল দিলীপ ঘোষের গলায়। তাঁর কথায়, “উনি পার্টির জন্য অনেক দিয়েছেন। পার্টি ক্ষমতায় এলে, লাভ হল কিছু লিমিটেড লোকের। কিছু করতে না দিয়ে হাত বেঁধে রাখা হয়েছে বলেই, তাঁরা এ সব কথা বলতে বাধ্য হচ্ছেন।” তবে, শনিবার ফেসবুক লাইভে এসে ‘বেসুরো’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বক্তব্য, তিনি ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন। এখনও ধৈর্যচ্যুতি ঘটেনি। অর্থাৎ এখনও দল ছাড়ার বিষয়ে স্পষ্ট না করলেও ‘পিছনে না ফিরে তাকানোর’ হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী।