Pet Dog: ভোটের হিংসায় ছ’টি কুকুরকে পিটিয়ে ‘খুন’, বাদ যাননি মালিকও,তাদেরই স্মৃতিতে এবার শহিদ বেদি BJP কর্মীর পরিবারের
BJP Worker Death: কাঁকুড়গাছিতে যেখানে অভিজিতের শহিদ বেদি তৈরি করা হয়েছে, ঠিক তার পাশেই পোষ্যদের স্মৃতিতে তৈরি শহিদ বেদী তৈরি করা হচ্ছে। বেদি তৈরি করছেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। তিনি নিজেও কুকুর ভালবাসেন। সন্তানের মত এখনও আগলে রাখেন পথ কুকুরদের।
কলকাতা: একইদিনে একসঙ্গে ছ’টি পথ কুকুরকে রাস্তায় পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। নৃশংসতা এতটাই ছিল যে সদ্যজাত কুকুর ছানাদেরও পিটিয়ে খুন করতে হাত কাঁপেনি দুষ্কৃতীদের। চোখ না ফোটা পাঁচটি সদ্যোজাত কুকুরছানাও ছিল সেই তালিকায়। ওরাও ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার। পোষ্যগুলির অপরাধ ছিল তাঁরা বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের পোষা কুকুর। অভিযোগ, সেই কারণেই তাদেরকে খুন করেছিল তৃণমূল। বাদ যাননি অভিজিৎও। তাঁকেও খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও, তৃণমূলের দাবি এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। দলের সঙ্গে কোনও যোগ নেইয
২০২১ সালের ২ মে খুন হন অভিজিৎ বলে অভিযোগ। বেলেঘাটা বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের কাছে হেরে গিয়েছিল বিজেপি। সেই কারণেই বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর অবলা ছ’টি কুকুরকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে ‘খুন’ করা হয়েছিল বলে দাবি পদ্ম শিবিরের। তবে অভিজিৎবাবুর পরিবারের কাছে ওই পোষ্যগুলিও ‘শহিদ’। সেই কারণে তাদের স্মৃতিতে শহিদ বেদী তৈরি করা হচ্ছে।
কাঁকুড়গাছিতে যেখানে অভিজিতের শহিদ বেদি তৈরি করা হয়েছে, ঠিক তার পাশেই পোষ্যদের স্মৃতিতে তৈরি শহিদ বেদী তৈরি করা হচ্ছে। বেদি তৈরি করছেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। তিনি নিজেও কুকুর ভালবাসেন। সন্তানের মত এখনও আগলে রাখেন পথ কুকুরদের।
বিজেপি কর্মী অভিজিৎ বরাবরই কুকুর ভক্ত। নিজে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খুলেছিলেন রাস্তার কুকুরদের সেবায়। অসুস্থ কিংবা দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হওয়া কুকুরদের সেবা করতেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে বাড়ির পাশেই পশু হাসপাতাল খুলেছিলেন। কোথাও কোনও কুকুরের সমস্যার কথা শুনলেই ছুটে যেতেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিজের হাসপাতালে এনে সেবা করতেন।
অভিজিতের সেই পোষ্যপ্রেম এবার মানুষের সামনে নিয়ে আসতে চাইছে তার পরিবার। মানুষকে জানাতে চাইছে যে দুষ্কৃতীরা এতটাই নৃশংস ছিল যে অভিজিতের পোষা কুকুর বলেই তাদেরকে হত্যা করেছিল। তাই অভিজিতের শহিদ বেদীর পাশেই তাঁর প্রিয় পোষ্যদের স্থান দেওয়া হচ্ছে।
অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, “যে কুকুরগুলিকে সেদিন খুন করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা,তারা তো কোনও দল করে না। তারা শুধু আমার ভাইয়ের পোষা কুকুর ছিল বলেই তাদেরকে হত্যা করেছিল। বিনা কারণে অবলা জীবগুলোকে মেরে দিয়েছিল। ওদেরও আমি ভুলতে পারি না। মানুষকে মনে করিয়ে দিতে চাইছি যে এই দুষ্কৃতীরা যে দলের আশ্রিত,তারা কতটা ভয়ঙ্কর যে অবলা প্রাণীদের ও রেহাই দেয়নি। সামনেই ভোট আসছে। মানুষ বিচার করবে।”