BLO Agitation: ‘শোকজেরও হুমকি ফোন আসে…’, CEO-র সঙ্গে আলোচনা চেয়ে অনড় বিএলও-দের একাংশ
BLO Agitation: এক আন্দোলনকারী বিএলও বলেন, "আমরা মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। ওনার ডেপুটি দিব্যেন্দুবাবু আমাদের কাছ থেকে বিএলও-দের সম্পর্কে তথ্য নেন। তার পাঁচ মিনিট পরে বিএলও তনুশ্রী মোদক ও সাহিফুল্লা হালদারের কাছে ফোন যায়। তাঁদের শোকজ করা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।"

কলকাতা: CEO দফতরে ধরনায় অনড় বিএলও অধিকার মঞ্চ। দাবিদাওয়া নিয়ে মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিক দেখা না করা পর্যন্ত ধরনা তুলতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, অস্বাভাবিক কাজের চাপ, তাতে মৃত্যু হয়েছে একাধিক বিএলও-র। এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সোমবার বিকাল থেকেই সিইও দফতরের বাইরে ধরনায় বসেছেন তাঁরা। এসআইআর-এর কাজে অতিরিক্ত কাজের চাপের কথা উল্লেখ করে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তাঁরা। সিইও দফতরের বাইরে বসেই স্লোগান দিচ্ছেন বিএলও-দের একাংশ।
এক আন্দোলনকারী বিএলও বলেন, “আমরা মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। ওনার ডেপুটি দিব্যেন্দুবাবু আমাদের কাছ থেকে বিএলও-দের সম্পর্কে তথ্য নেন। তার পাঁচ মিনিট পরে বিএলও তনুশ্রী মোদক ও সাহিফুল্লা হালদারের কাছে ফোন যায়। তাঁদের শোকজ করা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।” তাঁর বক্তব্য, “যতক্ষণ না পর্যন্ত মনোজ আগরওয়াল আমাদের সঙ্গে দেখা করছেন, বিএলও অধিকার মঞ্চের সঙ্গে এই ১৩ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করছেন, কালকের অপ্রীতিকর ঘটনার বিহিত হচ্ছে, আমরা ধরনা চালিয়ে যাব। এখানে বসেই থাকব।”
আন্দোলনকারী বিএলও-দের বক্তব্য, বাকি সমস্ত বিএলও-রা যাতে তাঁদের এই আন্দোলনে সামিল হন। যাতে তাঁদের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাঁচ মিনিট সময় দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরেই সিইও- দফতরে বিক্ষোভ দেখায় বিএলও অধিকার মঞ্চ। এক আন্দোলনকারী বিএলও দফতরের গেটে তালা ঝোলাতে যান। তাঁদের বিক্ষোভ ঠেকাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। তবে প্রথম থেকেই বিএলও অধিকার মঞ্চের সদস্যরা দাবি করে আসছেন, তাঁরা রাজ্য সরকারের সমস্ত কাজে পাশে রয়েছেন। সজল ঘোষ, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূলপন্থী।
সোমবার মধ্যরাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। সিইও-কে ঘেরাও করেন আন্দোলনকারী বিএলওরা। পরে সজল ঘোষের বাহিনী পৌঁছয় সেখানে। উপস্থিত হন খোদ বিজেপি নেতা সজল ঘোষও। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাঁরও কথা কাটাকাটি-ধস্তাধস্তি হয়। মধ্যরাতেই CEO দফতরের বাইরে তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। ভোর রাত থেকে সিইও দফতরের গেটের বাইরেই আলোচনা চেয়ে ধরনায় বসে রয়েছেন বিএলও অধিকার মঞ্চের সদস্যরা।
