AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BLO Protest in Kolkata: বিএলও-দের প্রতিবাদে মধ্যরাত পর্যন্ত দফতরেই ‘আটক’ সিইও! উদ্ধারে গেল ‘সজল-বাহিনী’

SIR in Bengal: রাজ্যের সিইও-র 'আটক' থাকার খবর পেয়েছিল বঙ্গ বিজেপিও। তাই মধ্যরাতেই সেই পথে রওনা দেয় তাঁরা। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে সুরক্ষিত ভাবে দফতর থেকে বের করতে তৎপর হন সজল ঘোষ নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রতিনিধি দল। তখনই পারদ চড়ে তুঙ্গে। স্লোগান-পাল্টা স্লোগান। কার্যত মুখোমুখি সংঘর্ষে নেমে পড়ে তৃণমূল-বিজেপি।

BLO Protest in Kolkata: বিএলও-দের প্রতিবাদে মধ্যরাত পর্যন্ত দফতরেই 'আটক' সিইও! উদ্ধারে গেল 'সজল-বাহিনী'
তুমুল বচসাImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2025 | 6:25 AM
Share

কলকাতা: সকাল থেকে দফায় দফায় আন্দোলন। কেউ বিএলও, কেউ বা শিক্ষক, সবাই জড়ো হলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের সামনে। চলল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। যা বজায় রইল মধ্যরাত পর্যন্ত। সিইও দফতরের সামনেই স্লোগান চড়ালেন বিএলও-দের একাংশ। যদিও এঁদের ‘তৃণমূলপন্থী’ বলেই দাগিয়েছেন বেশ কয়েকজন।

মধ্যরাতে উত্তেজনা

সোমবারের এই প্রতিবাদের কারণের মধ্যরাত পর্যন্ত দফতরেই ছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। এ যেন ‘ঘেরাও’ করে রাখা হয়েছিল তাঁকে। বিএলও-দের প্রতিবাদে তপ্ত ছিল সিইও দফতর সংলগ্ন এলাকা। রাত যখন ১২টা, তখনও দফতরের সামনের রাস্তা ঘিরে বসে রয়েছে প্রতিবাদীরা। অবশ্য এনাদের মধ্যে খাতায়-কলমে তিন-চার জনই বিএলও। বাকিরা শিক্ষক। তাঁদের দাবি, বিএলও-র দায়িত্ব পাওয়া সহকর্মীদের সমর্থনেই এখানে এসেছেন তাঁরা।

রাজ্যের সিইও-র ‘আটক’ থাকার খবর পেয়েছিল বঙ্গ বিজেপিও। তাই মধ্যরাতেই সেই পথে রওনা দেয় তাঁরা। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে সুরক্ষিত ভাবে দফতর থেকে বের করতে তৎপর হন সজল ঘোষ নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রতিনিধি দল। তখনই পারদ চড়ে তুঙ্গে। স্লোগান-পাল্টা স্লোগান। কার্যত মুখোমুখি সংঘর্ষে নেমে পড়ে তৃণমূল-বিজেপি। ক্ষণিকের মধ্যে পরিস্থিতি এতটাই তপ্ত হয়ে যায় যে চলে আসে পুলিশ বাহিনী। ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে চলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ। লালবাজার থেকে নিয়ে আসা অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।

এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল সিইও-কে সুস্থ ভাবে দফতর থেকে বের করা। সেই কাজ মিটে গিয়েছে। এবার ওরা (প্রতিবাদী বিএলও-রা) সারারাত ঠান্ডায় বসে থাকুক। আমাদের কিছু যায় আসে না।’ পাশাপাশি, বাংলার বিএলও-দের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সজল। তাঁর কথায়, ‘রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বুড়ো আঙুল ঘষে দিয়েছেন। ৪ তারিখ অবধি ডেডলাইন। আমি বলছি, এরা ২৭-২৮ তারিখের মধ্য়ে কাজ শেষ করে ফেলবেন।’

বিজেপির নেতা-কর্মীরা বেরিয়ে যেতেই গো-ব্যাক স্লোগান তোলেন ‘তৃণমূলপন্থী’ বিএলওরা। এদিন প্রতিবাদস্থলে থাকা বিএলও-দের সমর্থনকারী এক শিক্ষক বলেন, ‘ওদের আবার হারাব। আমি ভুয়ো নই। আমরা এসেছিলাম বিএলও-দের পাশে দাঁড়াতে। আমাদের দাবি খুব স্পষ্ট, বিএলও-রা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, আত্মঘাতী হচ্ছেন। তাই ওদের চাপ কমানোর দাবিতে এসেছিলাম। এটা কি ভুল?’