Murder at Bidhannagar: গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ, বিধাননগরে উদ্ধার এলআইসি এজেন্টের দেহ
LIC Agent murder at Kolkata: মৃত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
কলকাতা: ভর সন্ধ্যায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের মহিষ বাথান উদয়নপল্লীতে। মৃতের নাম নির্মল চন্দ্র মজুমদার (৫৫)। পেশায় এলআইসি এজেন্ট। অভিযুক্ত ওই এলাকারই বাসিন্দা সুজিত মণ্ডল। ঘটনার পর থেকে পলাতক সুজিত। ওই এলআইসি এজেন্টকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে পুলিশ। তবে ঠিক কী কারনে এই খুন তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
আজ সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে খবর আসে রক্তাক্ত অবস্থায় সল্টলেক সেক্টর ফাইভের মহিষ বাথনের উদয়নপল্লীর একটি ফাঁকা বাড়ির উঠানে এক ব্যক্তি পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই ব্যক্তিকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত ব্যক্তির নাম নির্মল চন্দ্র মজুমদার। ওই এলাকায় ভাড়া থাকতেন। প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে সুজিত মণ্ডলকে হাঁসুয়া হাতে ছুটে পালাতে দেখা গিয়েছে। এই সুজিতও ওই এলাকাতেই ভাড়া থাকত এবং ওই এলাকায় খুঁটিনাটি কাজ করত। ঘটনার পর থেকে এই সুজিত মণ্ডল পলাতক। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানতে পারে সুজিত মণ্ডল এর আগেও বিভিন্ন সময় স্থানীয়দের মারতে উদ্ধত হয়েছিল। তবে এই এলআইসি এজেন্ট খুনের পিছনে কী কারন রয়েছে, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মৃত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিষবাথানের মাঝেরপারায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন এই মৃত ব্যক্তি। পুরানো কোনও শত্রুতার জেরে এই হত্যা কাণ্ড কিনা তা তদন্ত করে দেখছে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। সুজিত মণ্ডল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা, এবং তার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স থানার পুলিশ। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য আগামিকাল আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হবে। তারপরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তের পর একাধিক তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। জানা গিয়েছে, যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই এলআইসি এজেন্ট, আজ সন্ধ্যায় ওই এলাকা থেকে পালাতে দেখা গিয়েছে এক ব্যক্তিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, যাকে পালাতে দেখা গিয়েছে, সে সুজিত মণ্ডল। ওই ঘরটিকে ইতিমধ্যেই সিল করে দিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, আগামিকাল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের জন্যও বিশেষ একটি দল যাবে। তাঁরা ওই এলাকা থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করবেন।
আরও পড়ুন : Dengue in Kolkata: বিধাননগরে ডেঙ্গির বলি মহিলা, এলাকায় যত্রতত্র ময়লা পড়ে থাকার অভিযোগ