AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bratya Basu: রাত পর্যন্ত অভিজিতের ড্রাফ্ট, বৈঠক না হওয়ায় ‘অপেক্ষমান’ ব্রাত্যের মুখে সাপ-ওঝার তত্ত্ব

Bratya Basu: মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু অভিজিত জানালেন, যেভাবে শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ হয়েছে, তার প্রতিবাদে সেই বৈঠক বাতিল করেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর তরফে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে দেন।

Bratya Basu: রাত পর্যন্ত অভিজিতের ড্রাফ্ট, বৈঠক না হওয়ায় 'অপেক্ষমান' ব্রাত্যের মুখে সাপ-ওঝার তত্ত্ব
ব্রাত্য বসু ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 09, 2025 | 4:28 PM
Share

সুপ্রিয় গুহ ও শ্রাবন্তী সাহা

কলকাতা: চাকরিহারাদের ডিআই অফিসে অভিযান ঘিরে বুধবার সকাল থেকে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি কসবা ডিআই অফিস চত্বর। চাকরিহারাদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিনই স্কুল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে বৈঠক ছিল প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তারপর তাঁর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি দেওয়ারও কথা ছিল তাঁর। কিন্তু অভিজিত জানালেন, যেভাবে শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ হয়েছে, তার প্রতিবাদে সেই বৈঠক বাতিল করেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর তরফে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে দেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু?

এদিন বিকাশভবনের বাইরে শিক্ষামন্ত্রী বললেন, “আজকে উনিই আসতে চেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। ওনার কথা মতো, দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে, ওনার দলীয় পরিচয় ভুলে গিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়। সাংসদ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলেছিলাম, মিডিয়ার কাছে আবেদন না করে সরসারি লিখিতভাবে আবেদন করুন। আমার কাছে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া সেই চিঠিই দিতে আসার কথা ছিল। তারপরও এলেন না।”

অভিজিতকে কটাক্ষ করতে গিয়ে লোককবিতার পংক্তি উল্লেখ করেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, “তুমি সর্প হয়ে দংশন করো, ওঝা হয়ে ঝাড়ো। উনিই বলেছিলেন আসবেন, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন বলেছিলেন, তারপর ব্যাকআউট করলেন। আর যে কারণ দেখিয়ে করলেন, সেটা কোনও যুক্তি হতে পারে না।” ব্রাত্যর পাল্টা প্রশ্ন, যদি প্রতিবাদ দেখাতেই হত, যে কারণে এই বৈঠকে এলেন না, তাহলে তিনি কমিশনে কেন গিয়েছিলেন?

অভিজিতের ওপর দলের তরফ থেকে কোনও চাপ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, “আমি ওনারই দেওয়া সময়ে বসে ছিলাম। উনি দলীয় কোনও প্রতিবন্ধতায় পড়লেন কিনা, এরকম করলে পরে কোনও অসুবিধা হত কিনা, উনিই বলতে পারবেন।”

তবে অভিজিতের স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি লাঠিচার্জের প্রতিবাদেই  এই বৈঠক বাতিল করেছেন। তিনি বলেন, “রাত তিনটে পর্যন্ত বসে আমি ওটাকে ড্রাফট করেছিলাম। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশনের বৈঠক ছেড়ে উঠছি, তখন শুনলাম, পুলিশ নৃশংসভাবে লাঠি চালিয়েছে। পুলিশ প্রচণ্ড মারধর করেছে? ওঁরা কি ক্রিমিন্যাল? যাঁরা ক্রিমিন্যাল তাঁরা তো মন্ত্রিসভায় বসে রয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীর ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে রাজি ছিলাম। কিন্তু পুলিশ শিক্ষকদের মারে, তখন আর কী ভদ্রভাবে কথা বলব?”