Bratya Basu Exclusive: আমার ন্যায্য কোটার চাকরি দলের ছেলেকেই দেব: ব্রাত্য
Bratya Basu: আবেগতাড়িত গলায় মন্ত্রী বললেন, 'যাঁরা আমার সঙ্গে বছরের পর বছর দেওয়াল লিখন করল, মিছিলে হাঁটল, যাঁরা দিদির ছবি নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলল ব্রাত্য বসুকে ভোট দিন... চাকরি তো আমি তাঁদেরই দেব।'
কলকাতা: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) অতীতে একবার বলেছিলেন, ‘চাকরি তৃণমূলের ছেলেমেয়েরাই পাবে। কোথায় পাবে, কেন পাবে, কীভাবে পাবে, সেসব আমি বলব না।’ সেই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সেই কথার পর অনেকদিন কেটে গেলেও বিরোধীরা এখনও মাঝেমধ্যেই বিষয়টি হাতিয়ার করে। টিভি নাইন বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে। কেন তিনি সেদিন ওই কথা বলেছিলেন, তার ব্যাখ্যা দিলেন ব্রাত্য বসু। মন্ত্রীর কথায়, তিনি কোনওদিন বলেননি কোন সরকারি দফতরের চাকরি পাবেন তাঁরা। বললেন, ‘বামফ্রন্ট সরকারের আমলে নিয়ম ছিল, প্রত্যেক মন্ত্রী তাঁদের দফতর পিছু দুইজন করে অ্যাটেন্ড্যান্ট নিতে পারবেন। ২০১১ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই আইন সংশোধন করে দফতর পিছু তিন জন করা হয়। আমার সরকারি দফতরের কেরিয়ারে আমি বেশিরভাগ সময় আমি দুটি দফতরের দায়িত্বে ছিলাম। হিসেব করলে এখানে চাকরির অঙ্ক বেশ বড়, প্রায় ৫০-৬০ জন।’
ব্রাত্য বসু এদিনও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, তাঁর কোটার চাকরি তিনি নিজের দলের লোককেই দেবেন। কিছুটা আবেগতাড়িত গলায় মন্ত্রী বললেন, ‘যাঁরা আমার সঙ্গে বছরের পর বছর দেওয়াল লিখন করল, মিছিলে হাঁটল, যাঁরা দিদির ছবি নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলল ব্রাত্য বসুকে ভোট দিন… চাকরি তো আমি তাঁদেরই দেব। আমার কোটার চাকরি আমি কাকে দেব? সেই চাকরি আমি দিয়েছি এবং আবার দেব। আমার পার্টির ছেলেকেই দেব। আমার ন্যায্য কোটার চাকরি আমার দলের ছেলেকেই দেব। আমার আইনি চাকরি আমি কাকে দেব বা না দেব, তা নিয়ে কার কী বলার আছে?’ মন্ত্রীর সাফ কথা, তিনি তাঁর কোটার চাকরি কাকে দেবেন, সেটি নিয়ে কারও কথা বলা উচিত নয়।
মন্ত্রী স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, এখানে দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কখনও কারও থেকে কিছু নেওয়া হয়নি বলেও দাবি তাঁর। বললেন, ‘যে তৃণমূলের ছেলেমেয়েরা চাকরি পেয়েছে, তাদের নাম ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছি। কেউ বলুক, স্যর চাকরি দিয়ে আমাদের থেকে একটা আলপিন নিয়েছেন, বা রুমাল নিয়েছেন বা এক বাক্স সন্দেশ খেয়েছেন। টাকা পয়সার কথা ছেড়ে দিন। তাহলে আমি রাজনীতিতে থাকব না, রাজনীতি ছেড়ে দেব।’