
মানুষের সামগ্রিক আচরণ পরিবর্তনের প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে বলেন, “সম্পূর্ণ সমাজে আচরণ পরিবর্তন করার সময় এসেছে এখন। ছোট ছোট আচরণগুলোকে ঠিক করতে হবে। বললেন মোহন ভাগবত। সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে আপন করতে হবে। আমাদের আশেপাশে দেখুন। সরকার প্রশাসন যা করার করবে। সামাজিক ভাবে আমাদের একে অপরের জন্য করতে হবে।শুধু একা সংঘ করতে পারবে না। আপনারাও এগিয়ে আসুন। তবেই শুদ্ধিকরণ হবে।”
ভালো কাজের জন্য সমাজের কাজের জন্য স্বয়ং সেবক সংঘ সবসময় পাশে থাকবে।তাতে কোনো পার্টি বিচার করতে হবে না। শুধু সমাজের জন্য কাজ করুন। সঙ্ঘের কাজ মানে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা, টিকিট পাওয়ার জন্য নয়।
সমাজে একতা থাকলে সমাজ পরিবর্তন হতে পারে। হিন্দুদের সংগঠিত করতে হবে। হিন্দুদের দেশ এটা। তোমার দেশের জন্য তুমি কি করলে সেটা প্রশ্ন উঠবেই। বৈচিত্র্যময় দেশ হলেও রাস্তা একটাই। সব মানুষকে সম্মান করো।নিজের কাজে অবিচলিত থাকো। সংঘর্ষ বাদ দিয়ে মিলে মিশে থাকো।এটাই ভারতবর্ষ। ভালো কাজের জন্য সমাজের কাজের জন্য স্বয়ং সেবক সংঘ সবসময় পাশে থাকবে।তাতে কোনো পার্টি বিচার করতে হবে না। শুধু সমাজের জন্য কাজ করুন।
হাতে গোনা কয়েকজন ব্রিটিশ এসে আমাদের দেশ দখল করে। ১৮৫৭ সালে আমরা পুরো গোলাম হয়ে গিয়েছিলাম। তখন থেকে বিদ্রোহ শরু হয়। নেতাজির অন্তর্ধানের পর তা শেষ হয়। আমরা স্বাধীনতা চাই। ৯০ বছরে এমন মহাপুরুষ পেয়েছি, যারা আজও অনুপ্রেরণা দেয়। সেনা লড়ে, প্রধানরা লড়ে। সাধারণ মানুষ নয়। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেধে এগোনোর প্রচেষ্টা করা হয়। চরকা চালিয়ে স্বরাজ অর্জনের স্বপ্ন দেখা হয়েছিল। আগে সমাজ সংস্কার দরকার। তারপর স্বতন্ত্রতা। আমরা সেই স্তরে পৌঁছয়নি। ৪৮টা জাতি ছিল, ৪৯ তম জাতি এসে বাকি জাতিকে মানতে চাইল না। জানি না কেন হয়েছিল।
সমাজে কেন উন্নতি নেই- এটা অনেকে প্রশ্ন করেন। আমরা নিজেদের ভুলে গিয়েছি। এত বড় সমাজ, দারিদ্রতা আছে, জ্ঞানের অভাব-কারোর চিন্তা নেই। আমরা নিজেদের মূলকে ভুলে গিয়েছি। স্বামী বিবেকানন্দ ও পঞ্জাবের স্বামী দয়ানন্দ-এই দুই মহাপুরুষ স্বাধীন ভারতে নানা কাজের অনুপ্রেরণা ছিলেন।
এ দিন মোহন ভাগবত বলেন, “রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠা কেন হয়েছিল, তা অনেকে জানতে চান। আমরা প্রার্থনার শেষে বলি, ভারত মাতা কি জয়। আমরা চাই ভারত বিশ্বগুরু হোক। ভারত এক স্বভাব, পরম্পরার নাম। তাই সমাজ তৈরির কাজ করে সঙ্ঘ। কোনও পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় তৈরি নয়। না কারোর প্রতি বিরোধ নিয়ে চলে। এই সঙ্ঘ হিন্দু সমাজের উন্নতির জন্য তৈরি, তার কাজ করে। সঙ্ঘে অনেক বিজেপি নেতা আছেন, তাই বলে আরএসএসের সঙ্গে বিজেপিকে গুলিয়ে ফেলা ভুল।”
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ফোটো)
কলকাতা: আরএসএসের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান এবার কলকাতাতে। রবিবার দুপুরে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে। যদিও অনুমতি নিয়ে শুরু থেকেই চলে টানাপোড়েন। আরএসএসের অভিযোগ ছিল কলকাতা পুরসভার থেকে অনুমতি মিলেলও লালবাজারের তরফে দেওয়া হয়নি অনুমতি। এদিকে কলকাতা পুলিশের এনওসি ছাড়া কোনওভাবেই অডিটোরিয়াম দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় সায়েন্স সিটি কর্তৃপক্ষ। জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।