BSF: জঙ্গি গ্রেফতার মাঝেই বাংলার ৩ জেলার সীমান্তে বড় নাশকতার ছক, ছবি হাতে পেতেই BSF রিপোর্ট পাঠাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে
BSF: ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজরদারিতে অত্যাধুনিক ড্রোন ও পিজিটি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। সেই ক্যামেরা থেকে দামী ব্যাটারি ও তার। ফলে বিকল হচ্ছে ক্যামেরা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বড় কোনও নাশকতার ছক কষা হয়েছিল?
কলকাতা: বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি। তাতে বাংলায় বাড়ছে অনুপ্রবেশ আশঙ্কা। আর সেই আশঙ্কার মাঝেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আরও একটা বিষয়। সীমান্তে চুরি যাচ্ছে নজরদারি ক্যামেরার তার ও ব্যাটারি। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজরদারিতে অত্যাধুনিক ড্রোন ও পিজিটি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। সেই ক্যামেরা থেকে দামী ব্যাটারি ও তার। ফলে বিকল হচ্ছে ক্যামেরা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বড় কোনও নাশকতার ছক কষা হয়েছিল?
সীমান্তে সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কুয়াশাকে হাতিয়ার করে হচ্ছে অনুপ্রবেশ। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারে নাইট ভিশন ক্যামেরা, থার্মাল ইমেজ ক্যামেরা-সহ একাধিক সরঞ্জাম চুরি গিয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, এই ডোম ক্যামেরা ও TBZ ক্যামেরা সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে লাগানো হয়েছিল। অর্থাৎ এই এলাকাগুলো থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বেশি। আর এই এলাকায় যদি ক্যামেরা বিকল করে দেওয়া হয়, তাহলে অনুপ্রবেশকারীদের অনেকটাই সুবিধা হবে।
শীতের রাত আর কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরকেই কাজে লাগাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা। বাড়বাড়্ন্ত হচ্ছে দুষ্কৃতীদেরও। মূলত মালদহ, নদিয়ার কৃষ্ণনগর, মুর্শিদাবাদের সীমান্তে হচ্ছে চুরি। এখনও পর্যন্ত ১৫ টি ক্যামেরার ব্যাটারি চুরি হয়ে গিয়েছে। চুরি গিয়েছে সাড়ে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত তার। যে তার কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে ক্য়ামেরাগুলোকে যুক্ত করে, সেটাও চুরি গিয়েছে। ফলে বিএসএফের আশঙ্কা, ক্যামেরা বিকল করে বড় নাশকতারও ছক কষা হতে পারে।
এই ব্যাপারে যাবতীয় রিপোর্ট ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজি বিএসএফ নীলোৎপালকুমার পাণ্ডে বলেন, “এটা একটা বড় প্রক্রিয়া। কোনও কিছু খারাপ হলে, একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সেটা দ্রুত বদলানো হয়। ”