Burn To Death: আবাসনে পরিচারিকার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার, ফ্ল্যাট মালিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 23, 2021 | 12:51 PM

Burn To Death: স্থানীয় সূত্র মারফত খবর, বুধবার রাতে বহুতল আবাসনের তৃতীয় তলায় পরিচারিকা রান্নার কাজ করছিলেন। সে সময় আগুন লেগে যায়। তাঁর দেহের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

Burn To Death: আবাসনে পরিচারিকার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার, ফ্ল্যাট মালিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন?
আবাসনে পরিচারিকার রহস্যমৃত্যু (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

কলকাতা:  আবাসনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে পরিচারিকার মৃত্যু। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য কৈখালি মণ্ডলগাতিতে।মৃতের নাম সানা রানি পাল (৪৬)। ঘটনায় আপাতত বাড়ির মালিককে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র মারফত খবর, বুধবার রাতে বহুতল আবাসনের তৃতীয় তলায় পরিচারিকা রান্নার কাজ করছিলেন। সে সময় আগুন লেগে যায়। তাঁর দেহের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাঁকে উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

দীর্ঘদিন ধরে সমীর দে সরকারের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন সানা রানি পাল। বছর ষাটেকের সমীর ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। পরিচারিকা ছাড়া  তাঁঁর পরিবারের অপর কোনও  সদস্য ফ্ল্যাটে থাকতেন না। অনান্য দিনের মতো বুধবার রাতেও সানা রানি রান্নাঘরে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সমীরের বয়ান অনুযায়ী, সানার চিৎকার শুনেই তিনি রান্নাঘরের দিকে ছুটে যান। প্রতিবেশীরাও চলে আসেন। তখন তাঁর শরীরের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিন কীভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। নিছক দুর্ঘটনা না এর পেছনে কোনও কারণ আছে সেই বিষয়ে পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পুলিশ সমীর দে সরকারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পরিচারিকার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বাগুইআটি থানার তদন্তকারি আধিকারিকেরা। সানা রানির পরিবারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে খবর। এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।

প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগেই মালিকের ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে উদ্ধার হয় এক পরিচারিকার ঝুলন্ত দেহ। গড়ফার ১৪ নম্বর কালীতলা পার্ক লেনে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এ ঘটনায় পরিচারিকার পরিবার মালিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে।

নেপথ্যে উঠে আসে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ধার না শোধ করার তত্ত্ব। পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় মালিকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চড়া সুদে ধার নিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকার পরিমাণ পরবর্তিতে গিয়ে পৌঁছয় এক লক্ষে। সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন ফ্ল্যাটের মালিক। এই মৃত্যুর কিনারা এখনও হয়নি। তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে শহরের আরও একটি আবাসনে পরিচারিকার চাঞ্চল্যকর মৃত্যু।

আরও পড়ুন: আদৌ কি হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত বিকাশ? এসএসকেএমের রিপোর্টের পর এবার এইমসের বিশেষজ্ঞ দল গঠনে তৎপর সিবিআই

আরও পড়ুন: Kolkata Metro: ফের মেট্রোর কাজে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ‘লুঠের চেষ্টা’

Next Article