‘মেলিজমা’য় মেতে উঠল ছাত্র-ছাত্রীরা, নাচে-গানে মুখর হল ‘ক্যালকাটা গার্লস’
১৬ ও ১৭ অক্টোবর জুড়ে চলল সেই ফেস্টিভ্যাল। গান ছাড়াও ছিল নানা অনুষ্ঠান। ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছিল শহরের ১৪টি স্কুল। সৃজনশীলতায় মুখর হয়ে উঠেছিল সেই অনুষ্ঠান। ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ, শিল্পের প্রতি নিষ্ঠা ছিল চোখে পড়ার মতো।

কলকাতা: স্কুল মানেই কি শুধু গতানুগতিক পঠন-পাঠন! বই-খাতা আর ব্ল্যাক বোর্ড! সিলেবাস-রুটিনের মাঝেই যেন একটু অক্সিজেন নিয়ে নিল শহরের অন্যতম স্কুল ‘ক্যালকাটা গার্লস’। গানের সুরের মূর্ছনায় তৈরি হল এক অন্য বৈচিত্র্যের ছবি। ইন্টারস্কুল মিউজিক্যাল ফেস্টিভ্যাল Melisma এবার সপ্তম বর্ষে পা দিল।
১৬ ও ১৭ অক্টোবর জুড়ে চলল সেই ফেস্টিভ্যাল। গান ছাড়াও ছিল নানা অনুষ্ঠান। ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছিল শহরের ১৪টি স্কুল। সৃজনশীলতায় মুখর হয়ে উঠেছিল সেই অনুষ্ঠান। ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ, শিল্পের প্রতি নিষ্ঠা ছিল চোখে পড়ার মতো।
অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ক্যালকাটা গার্লস হাইস্কুলের চেয়ারম্যান বিশপ ড. সি সেলভিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্যালকাটা গার্লস হাইস্কুলের ভাইস চেয়ারম্যান কে সর্দার, ডানকুনির মেথডিস্ট স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল তথা সেক্রেটারি লরেন্স এয়ান্যুয়েল।
প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘তালম’। মূলত ভারতীয় নৃত্য পরিবেশ করা হয় সেখানে। এছাড়া ছিল ‘বাইলান্দো’, যেখানে মূলত পাশ্চাত্যের নাচ পরিবেশন করা হয়। এছাড়া গজল পরিবেশন করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করতে অনুষ্ঠিত হয় ‘ধ্রুবম’। একটু অন্যরকম গান পরিবেশন করে অনুষ্ঠানে আলাদা মাত্রা যোগ করে ‘রিসাইক্লিকা’। স্বাদ বদল করে ‘মিউজিকোরিয়াম’। যেখানে মূল অনুষ্ঠান ছিল মিউজিক্যাল কুইজ।
দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানও ছিল রঙিন। নিজেদের তৈরি করা গান পরিবেশন করার সুযোগ ছিল ‘ক্যাপ্রিসিও’-তে। আর সেমি ক্লাসিক্যাল সোলো গান পরিবেশন করার জন্য আয়োজিত হয় ‘লাল মাটি’। সবার শেষে ছিল ‘ইমপালস’।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়। পরের বছরের Melisma-র অপেক্ষাতেই শেষ হল এবারের অনুষ্ঠান।
