Calcutta High Court: ‘এটা পেইন ফুল’, মুখ্যসচিবকে বললেন বিচারপতি, পন্থের একটাই ‘সতর্ক থাকব’! কেন আদালতে মুখ্যসচিব?
Calcutta High Court: শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন, "রাজ্যের সর্বোচ্চ আধিকারিক মুখ্যসচিব। এ বিষয়ে তাঁর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে কার থাকবে?" আদালতে এদিন স্পষ্ট করে দেয়, হাইকোর্টের ওবিসি নির্দেশের জন্য কোন নিয়োগে বাধা নেই।

কলকাতা: হাইকোর্টে ওবিসি মামলায় নির্দেশের জন্য কোন নিয়োগ আটকে নেই। ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের হাজিরায় স্পষ্ট করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় আগেই রাজ্য সরকার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া তারা বন্ধ বা বিলম্বিত করছে। কেন সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকাল বন্ধ করা হচ্ছে, তা জানতে চেয়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ভার্চুয়ালি তলব করেন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন, “রাজ্যের সর্বোচ্চ আধিকারিক মুখ্যসচিব। এ বিষয়ে তাঁর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে কার থাকবে?” আদালতে এদিন স্পষ্ট করে দেয়, হাইকোর্টের ওবিসি নির্দেশের জন্য কোন নিয়োগে বাধা নেই।
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী মুখ্যসচিবকে বলেন, “আমরা আমাদের নির্দেশ স্পষ্ট করেছিলাম। রাজ্য বা মুখ্যসচিবের এবিষয়ে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই?” তখন মুখ্যসচিব বলেন, “সেপ্টেম্বরে সব দফতরে এই অর্ডারে জানানো হয়েছে। ল’অফিসার ইত্যাদির পরামর্শে একটু দেরি হয়েছে। আমাদের কোনও আদালতকে না মানার কোন বিষয় নেই। তবে এটা একটা ভুল সেটা স্বীকার করছি।”
বিচারপতি মান্থা বলেন, “ওবিসি সার্টিফিকেট, যাঁরা ২০১০ সালের এর আগে পেয়েছেন, তাঁদের নিয়োগে কোন বাধা নেই। তাই আমাদের উপরে দোষ চাপাবেন না। বলবেন না যে আমরা চাকরিতে বাধা দিয়েছি।”
বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “আপনি সবচেয়ে বড় আধিকারিক। আপনার লোকেরা মানছেনা। এটা আমাদের কাছে খারাপ লাগছে। আপনাকে আদালতে ডাকাও পেইন ফুল। আপনার কোথা না শুনলে আর কার কথা শুনবেন ওঁরা?” তখন মুখ্যসচিব বিচারপতিকে বলেন, “আমি এবিষয়ে সতর্ক হব।”
উল্লেখ্য, গত বছর ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টে রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। উচ্চ আদালতের নির্দেশ ছিল, ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করতে হবে। হাইকোর্টে মামলা হলে ১১৩ টি শ্রেণির সমস্ত সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়। যদিও ২০১০ সালের আগের ৬৬টি শ্রেণি নিয়ে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেনি। এরপরে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলেও কোনও স্থগিতাদেশ পায়নি। এরপর রাজ্য সরকার সমস্ত নিয়োগের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের যুক্তি তাঁরা ১১৩ টি শ্রেণিকে বাদ করতে চায়না তাই তাঁদের ছাড়া নিয়োগ করবে না।

