RG Kar Molestation Case: আর জি করে শ্লীলতাহানি কাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক পড়ুয়াদের এখনই সাসপেন্ড নয়: হাইকোর্ট
Calcutta High Court: হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত আর জি কর হাসপাতালের সহকর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে তিন চিকিৎসক পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা যাবে না। তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছে আদালত। তবে অভিযুক্তদের তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে (R G Kar Medical College) এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল চিকিৎসক মহলে। আর জি কর হাসপাতালের এক সহকর্মীকে শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগে তিন চিকিৎসক পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত চিকিৎসক পড়ুয়ারা (Intern Doctors)। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত আর জি কর হাসপাতালের সহকর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে তিন চিকিৎসক পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা যাবে না। তাঁদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও জানিয়েছে আদালত। তবে অভিযুক্তদের তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আর জি কর হাসপাতালে এই শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই বহুদূর জল গড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় এফআইআর হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এর পাশাপাশি আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে ওই ঘটনায়। সেই অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে তিন চিকিৎসক পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অভিযুক্ত চিকিৎসক পড়ুয়ারা। অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক পড়ুয়ারা আর জি কর হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগে ইন্টার্ন চিকিৎসক। মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও আইন নেই তাঁদের সাসপেন্ড করার। সেই মামলায় এদিন হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করা যাবে না। আগামী ১৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালের ওই ঘটনাটি ঘটেছিল গত বৃহস্পতিবার। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে টানা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন মহিলা। মহিলার অভিযোগ ছিল, হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় সহকর্মী চিকিৎসকরা তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত ২৯ মে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত চিকিৎসক পড়ুয়ারা।