SSC Recruitment Case: ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসকে কি সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ করা যায়? বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের
Calcutta High Court: ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ করা যায় কি না, সে বিষয়ে স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিবকে বিবেচনা করে দেখতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার স্কুলশিক্ষা দফতরকে এই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কলকাতা : গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনকারী ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ করা যায় কি না, সে বিষয়ে স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিবকে বিবেচনা করে দেখতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার স্কুলশিক্ষা দফতরকে এই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে বিচারপতির অনুরোধ, প্রয়োজনে রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হোক। ক্যান্সার আক্রান্ত আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী সোমা দাসের চিকিৎসার জন্য ১৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। চাকরি না পেলে কীভাবে সেই চিকিৎসা হবে? সাত দিনের মধ্যে সোমা দাসের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন বিচারপতি। প্রয়োজনে তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত সব নথি খতিয়ে দেখবেন স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিব।
স্কুল সার্ভিস কমিশন চেয়ারম্যান এবং স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিবের থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে হলফনামা তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, মেধা তালিকায় নীচের দিকে থাকা ব্যক্তিরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এই অভিযোগ কতটা ঠিক, তা খতিয়ে দেখে উত্তর দেবে দুই কর্তৃপক্ষ। সোমবার আদালতে আন্দোলনকারী সোমা দাস জানান, ” ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে যখন ধর্না চলছিল, তখন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে স্বয়ং এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের থেকে ৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছিল। এই ৫ জন আন্দোলনকারী, সরকার পক্ষের ৫ জনের সঙ্গে বৈঠক করে। এই ৫ জন আন্দোলনকারী হলেন হাফিজুল গাজি, ইনসান আলি, তানিয়া শেঠ, রাকেশ প্রামাণিক, অর্পিতা পারভিন।”
সোমা দাসের বক্তব্য, “পরে দেখা যায় এই ৫ জন এবং তাদের বেশ কয়েকজন পরিজন চাকরি পেয়েছেন। আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অলোক কুমার সরকার, তাপস পাঁজা, সুকান্ত আচার্য, এবং পি.কে. বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৫ জনের সঙ্গে বৈঠক করেছে।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসের বিষয়টি জানতে পেরে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করে হাইকোর্ট। সোমা দাসকে আদালতে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে অন্য কোনও বিভাগে চাকরির প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী সোমা দাস। বলেছিলেন, “আমি শিক্ষিকা হওয়ার এই স্বপ্ন হারাতে চাই না।” এরপর সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন, সোমা দাসকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ করা যায় কি না, সেই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য।