Justice Abhijit Gangopadhyay: CID-কে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়, ডিভিশন বেঞ্চে স্থগিতাদেশ
Justice Abhijit Gangopadhyay: উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারের মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতিতে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রথমে সেই অভিযোগ থানায় দায়ের হয়। আলিপুরদুয়ার থানা তদন্ত শুরু করলেও পরবর্তীতে তদন্তভার যায় তদন্তভার যায় সিআইডি-র হাতে।
কলকাতা: আলিপুরদুয়ার সমবায় দুর্নীতি মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সঙ্গে রাজ্যকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। মঙ্গলবার সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারের মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতিতে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রথমে সেই অভিযোগ থানায় দায়ের হয়। আলিপুরদুয়ার থানা তদন্ত শুরু করলেও পরবর্তীতে তদন্তভার যায় তদন্তভার যায় সিআইডি-র হাতে। ঘটনায় গ্রেফতারও হয় পাঁচজন। তবে অভিযোগ ওঠে কোনও আমানতকারী নিজের প্রাপ্য টাকা ফেরত পাননি। তারপরই মামলার জল গড়ায় হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হয় শুনানি। গত ২৪ অগস্ট এই দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। কিন্তু অভিযোগ, সিআইডি এই মামলার কোনও তথ্যই ইডি বা সিবিআই কারোর হাতে তুলে দেয়নি। বিচারপতির সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সিআইডি।
এরপর গত শুক্রবার আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গরিবের টাকা মেরে আপনারা ছেলেখেলা করছেন? কারা এই টাকা নিয়েছে সিআইডি এতদিনেও জানে না। কিন্তু আমি জানি। আপনারা তদন্ত করছেন না উল্টে আবার পুরনো নির্দেশ পুনর্বিবেচনা জানানোর আর্জি জানিয়েছেন।” এরপর গত দু’সপ্তাহের মধ্যে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জরিমানার অর্থ জমা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এবার সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই রায় ধাক্কা খেল ডিভিশন বেঞ্চে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই তদন্ত করবে এই মামলায়, বহাল রইল সেই নির্দেশ।
