Calcutta High Court: ‘কোন গ্রাউন্ডে গ্রেফতার?’ শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল হাইকোর্ট
Calcutta High Court: পাশাপাশি পুলিশকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। দশ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। দেওয়া হয়েছে একাধিক শর্ত। তদন্তকারী অফিসারকে সাহায্য করতে হবে শর্মিষ্ঠাকে।

কলকাতা: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ। গ্রেফতার হন শর্মিষ্ঠা পানোলি। সেই ঘটনায় শর্মিষ্ঠার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেন বিচারপতি রাজ বসু চৌধুরী। পাশাপাশি পুলিশকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। দশ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। দেওয়া হয়েছে একাধিক শর্ত। তদন্তকারী অফিসারকে সাহায্য করতে হবে শর্মিষ্ঠাকে। দেশের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। বিদেশে যেতে হলে সিজেএম আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এ দিনের শুনানি এক নজরে….
শর্মিষ্ঠার আইনজীবী: আমরা এফআইআর খারিজ করার আবেদন করতে চাই।
অ্যাডভোকেট জেনারেল: আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে কেস ডায়েরি সঙ্গে এনেছি। অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য বিক্ষোভ হয়েছে। সেই ছবি রয়েছে কেস ডায়েরিতে। রেগুলার বেঞ্চে পাঠানো হোক এই মামলা।
বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী: রেগুলার বেঞ্চে আদেশ রয়েছে আজই মামলা শোনার।
অ্যাডভোকেট জেনারেল: তদন্ত শুরু করে পুলিশ গিয়েছিল শর্মিষ্ঠার বাড়িতে। কিন্তু পাওয়া যায়নি। ১৯ তারিখ রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাত বারোটা বেজে পাঁচ মিনিটের বিমানে চড়ে কলকাতা থেকে দিল্লি উড়ে যান শর্মিষ্ঠা। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী: গ্রেফতারের গ্রাউন্ড কী? শুধুই অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট? আপনারা একটি ল্যাপটপ ও একটি আইফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন। আর কোনও ডিটেইল এনকোয়ারি জরুরি? আদালত সব জানে। কিন্তু অভিযুক্তরও জানা উচিত তাঁকে কোন গ্রাউন্ডে গ্রেফতার করা হল।
আপনারা মামলা করেছেন। দু’বার নোটিস দিয়েছেন। তারপর কোর্টে আবেদন করেছেন ওয়ারেন্টের জন্য। তবে ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের গ্রাউন্ড উল্লেখ থাকে না।
বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী: ভিডিয়ো কেস ডায়েরিতে নেই কেন? পুলিশ X কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেননি কেন? সেই কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমোদন না পেয়ে কী পদক্ষেপ করল? কেস ডায়েরিতে এরকম কিছু আছে?
শর্মিষ্ঠার আইনজীবী: ‘অপারেশন সিঁদুরের’ পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাক্য যুদ্ধ চলছিল। শর্মিষ্ঠা পাকিস্তানি একটি মেয়েকে টার্গেট করে ভিডিয়ো করেছিলেন। ১৫ মে পুনে থেকে কলকাতায় আসেন। কারণ হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
এই গ্রেফতারি বেআইনি। আমার মক্কেল ১৫ মে থেকে রোজ থানায় গিয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের ছবি,বাড়ি,স্কুল সব পাবলিক হয়ে গিয়েছিল। থ্রেট ছিল। তাই তিনি রাতের বিমান ধরে দিল্লি চলে যান।
শর্মিষ্ঠার আইনজীবী: আমার মক্কেল আইন নিয়ে পড়ছেন। শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা রয়েছে। আগামিকাল আমরা অন্তর্বর্তী জামিন চাইছি।
অ্যাডভোকেট জেনারেল: হুমকির জন্য আনন্দপুর থানায় গিয়েছেন। গার্ডেনরিচ থানায় যাননি।
বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী: অভিযুক্ত কি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি? যে তাঁর স্কুল সহ নানা পরিচয় এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগকারীর বিরুদ্ধেও তো মামলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? তাঁকেও তো গ্রেফতার করা উচিত ছিল। আমার মতে, গ্রেফতারি পরোয়ানার নির্দিষ্ট গ্রাউন্ড থাকা উচিত ছিল।
