কলকাতা: পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় (Park Street Rape Case) নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে ২০১২ সালের এই মামলার শুনানি হয়। আগামী বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। ততদিন পর্যন্ত নিম্ন আদালতের বিচারে স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। পার্কস্ট্রিটের একটি পাঁচতারা হোটেলের বাইরে থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় এক মহিলাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল শুরু হয় মহানগরের বুকে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে নাসির খান, রহমান খান, সুমিত বাজাজ নামে তিনজনের নাম। তাদের ধরাও হয়। এর পরে কাদের খান ও মহম্মদ আলি নামে আরও দুই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে কলকাতা পুলিশ। ২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বর গাজিয়াবাদ থেকে কাদের ও আলিকে পাকড়াও করে লালবাজার। অভিযোগ ওঠে টলিউডের এক স্বনামধন্য অভিনেত্রী তাঁকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন। এর পর ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে কাদের ও মহম্মদ আলির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
এদিকে বিচারপ্রক্রিয়ার এই দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যে ২০১৫ সালের ১৩ মার্চে এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে নির্যাতিতার। ঘটনাক্রমে এই ধর্ষণ মামলায় তিন অভিযুক্তকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় নিম্ন আদালত। যদিও সেই মামলার বিচারপর্ব এখনও চলছে কলকাতার নগদ দায়রা আদালতে। সোমবার সেই মামলার শুনানির উপরই স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট ।
এই মামলায় ছয় সাক্ষীকে ক্রস এক্সামিনেশন পাল্টা সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন জানানো হয় নিম্ন আদালতে। যদিও অভিযুক্তদের করা এই আবেদন খারিজ করে দেয় নিম্ন আদালত। আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এর পর কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় অভিযুক্তরা। এদিন সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন: Ranjan Gogoi : রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস তৃণমূলের, সমর্থন কংগ্রেসের