Ranjan Gogoi : রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস তৃণমূলের, সমর্থন কংগ্রেসের
Parliament Winter Session: তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নূর এবং জওহর সরকার আজ রাজ্যসভায় রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস দিয়েছেন। তাতে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও।
নয়া দিল্লি : সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের অভিযোগ আনল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নূর এবং জওহর সরকার আজ রাজ্যসভায় তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস দিয়েছেন। তাতে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও।
ঘটনার সূত্রপাত হয় রঞ্জন গগৈয়ের এক সাক্ষাৎকার থেকে। এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রঞ্জন গগৈ রাজ্য়সভায় তাঁর উপস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমার যখন মনে হবে, আমি তখন রাজ্যসভায় যাব। আমার যে বিষয়ে বক্তব্য পেশ করার প্রয়োজন মনে হবে, সেই বিষয়ে বক্তব্য পেশ করব। আমি মনোনীত সদস্য। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের হুইপ মানব না।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই নিজের আত্মজীবনী প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। বইয়ের নাম ‘জাস্টিস ফর দা জাজ – অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। সেই বই সংক্রান্ত বিষয়েই এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন রঞ্জন গগৈ। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই সাক্ষাৎকারের সময় রঞ্জন গগৈ এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলির জন্য অপমানজনক। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক ভাষার প্রয়োগেরও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
তৃণমূল সাংসদরা স্বাধীকার ভঙ্গের যে নোটিসটি এনেছেন, তাতে ওই সাক্ষাৎকারের একটি বিশেষ অংশও তুলে ধরা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে রঞ্জন গগৈ ওই সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বলছেন, “আপনি এই সত্যটি খেয়াল করছেন না যে এক বা দুটি অধিবেশনের জন্য, আমি সংসদে একটি চিঠি জমা দিয়েছিলাম যে কোভিডের কারণে (চিকিৎসকের পরামর্শের ভিত্তিতে) আমি অধিবেশনে যোগ দেব না। গত শীতকালীন অধিবেশনের একটু আগে পর্যন্ত, সাংসদরা শুধুমাত্র আরটি-পিসিআর পরীক্ষাপ পরেই রাজ্যসভায় প্রবেশ করতে পারছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে, আমি সেখানে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করিনি।”
তিনি আরও বলেছেন, “সামাজিক দূরত্বের যে নিয়মগুলি প্রয়োগ করা হয়েছে, সেগুলি ঠিকঠাক পালন করা হচ্ছে না। অধিবেশন কক্ষে বসার ব্যবস্থা আমার কাছে খুব একটা সঠিক বলে মনে হয় না। আমার যখন মনে হবে, আমি তখন রাজ্যসভায় যাব। আমার যে বিষয়ে বক্তব্য পেশ করার প্রয়োজন মনে হবে, সেই বিষয়ে বক্তব্য পেশ করব। আমি মনোনীত সদস্য। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের হুইপ মানব না।”
তাঁর বক্তব্য ছিল, “রাজ্যসভা এমন কী জাদু রয়েছে? আমি যদি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হতাম তাহলে বেতন, ভাতার দিক থেকে আমি আরও ভাল জায়গায় থাকতাম। আমি রাজ্যসভা থেকে এক টাকাও নিচ্ছি না।”