Pamela Goswami: মাদক কাণ্ডে ২৯২ দিন পর জামিন বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীর
Cocaine Case: একুশের বিধানসভা ভোটের আগে কোকেন কাণ্ডে (Cocaine Case) গ্রেফতার হয়েছিলেন পামেলা গোস্বামী। প্রায় ১১ মাস পর জামিন পেলেন তিনি। একই সঙ্গে জামিন পেলেন আরেক অভিযুক্ত সোমনাথ চ্যাটার্জি।
কলকাতা: একুশের বিধানসভা ভোটের আগে কোকেন কাণ্ডে (Cocaine Case) গ্রেফতার হয়েছিলেন পামেলা গোস্বামী। প্রায় ১১ মাস পর জামিন পেলেন তিনি। একই সঙ্গে জামিন পেলেন আরেক অভিযুক্ত সোমনাথ চ্যাটার্জি। মঙ্গলবার তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।
চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি গাড়ি থেকে ৭৬ গ্রাম কোকেন পায় পুলিশ। নাম জড়ায় বিজেপি যুব নেত্রী পামেলা গোস্বামীর। এই ঘটনায় নাম জড়ায় আরেক বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু তদন্তে সহযোগিতার নাম করে পালিয়ে যান রাকেশ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ২৩ ফেব্রুয়ারি রাকেশ সিংকে গলসি থেকে গ্রেফতার করে লালবাজার পুলিশ। তার পর থেকে জেলেই ছিলেন পামেলা ও রাকেশ।
ইতিমধ্যে রাকেশ সিং কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পান। এবার ২৯২ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর জামিন পেলেন পামেলা। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে।
এই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, চার্জশিটে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। এছাড়া অভিযুক্তের কাছ থেকে মাদকও উদ্ধার হয়নি। তাই এই মামলায় জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার মত কিছু নেই। এর পরই রাকেশ সিংহকে জামিন দেয় আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।
গত ২৪ তারিখ রাকেশ সিংয়ের জামিন মঞ্জুরের সময়বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ ছিল, “বর্তমান মামলার বাস্তবতা, রেকর্ডে থাকা উপাদানের মূল্যায়নের ভিত্তিতে, আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করি যে আবেদনকারী তাঁর বিরুদ্ধে যে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, তা তিনি করেননি।”
কলকাতা হাই কোর্ট অবশ্য এও জানায়, নিষিদ্ধ ড্রাগ এবং সাইকোট্রপিক পদার্থের অবৈধ পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই কড়া হাতে মোকাবিলা করতে হবে। এতে কোনও সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না। তবে এই মামলা জামিনের আবেদন খারিজ করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে আরও উল্লেখ করেছে, আবেদনকারীর সঙ্গে কোনওরকম নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়নি। আবেদনকারীর ব্যক্তির কাছ থেকে বা আবেদনকারীর সঙ্গে জড়িত কোনও জায়গা থেকেও এমন কোনও মাদক উদ্ধার করা যায়নি বলেও জানায় আদালত।
এদিকে অন্য অভিযুক্ত প্রবীর, সোমনাথ এবং পামেলার কাছ থেকে কোকেন পাওয়া হয়েছিল। তবে চার্জশিটে তাদের নাম ছিল না। এই বিষয়টিও উল্লেখ করে হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, চার্জশিটে পামেলাদের নাম নেই। বরং উল্লেখ করা হয়েছে, পামেলা, সোমনাথ এবং প্রবীর যে গাড়িটি করে যাচ্ছিল, সেই গাড়িতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মাদক রেখে দিয়েছিল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই তাদের সমস্যায় ফেলতে এমনটা করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে।
আরও পড়ুন: Kolkata Crime News: ঘরের মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত, মুখ থুবড়ে দেহ! সোনালি পার্কের মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ