AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ইমেলে অভিযোগ জানালেই দ্রুত ফেরাতে হবে ঘরছাড়াদের’, নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

বিরোধীদের অভিযোগ, হামলার আতঙ্কে এখনও ঘরে ফিরতে পারছেন না বহু কর্মী। হাইকোর্টে (Calcutta High court) চলছে সেই মামলা।

'ইমেলে অভিযোগ জানালেই দ্রুত ফেরাতে হবে ঘরছাড়াদের', নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
ফাইল ছবি
| Updated on: Jun 04, 2021 | 1:54 PM
Share

কলকাতা: নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনায় অনেকেই ঘরছাড়া বলে অভিযোগ সামনে এনেছে বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শিবিরে তাঁর আশ্রয় নিয়েছেন বলেও দাবি। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বৃহত্তর বেঞ্চ আজ সেই মামলায় নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের যে কোনও মানুষ, যিনি ঘরতে ফিরতে পারেননি তিনি ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। তাঁদের দ্রুত ঘরে ফেরাতে হবে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও রাজ্যের লিগল সার্ভিস অফিসার তিনজনকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল হাইকোর্টের এই বৃহত্তর বেঞ্চ। আজ সেই কমিটি হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যারা ফিরতে পারেননি তাঁরা ইমেলের মাধ্যমে কমিটিকে সমস্যা জানাবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এন্টালির ১২৫ জন ঘরছাড়াকে নিয়ে মামলা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৩৯ জন ইতিমধ্যে ঘরে ফিরে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘রায় বাবু ও ব্যানার্জি পরিবারের’ দূরত্ব কমছে? মুকুল-অভিষেক ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে বিস্ফোরক অর্জুন

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয় ২ মে। তারপর থেকেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। সারা রাজ্যে বিজেপির প্রায় ৩০-এর বেশি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এবিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে শুনানি হয় হাইকোর্টে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। রাজ্য সরকারকে দেওয়া নোটিশের প্রেক্ষিতে জানানো হয়েছে, অশান্তি এখন নিয়ন্ত্রণে। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ৩ মে পর্যন্ত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল।