Calcutta High Court: চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা রহস্যমৃত্যু মামলা: তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ আদালতের

Calcutta High Court: মামলাকারীর আইনজীবী লিটন মৈত্রের বক্তব্য, এই মামলায় গত শুনানিতে নির্দেশ ছিল তদন্তকারী অফিসার ১০ অগষ্টের মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম-এ জমা করবেন। কিন্তু তিনি তা না করে ওই রিপোর্ট জমা করেন ১৮ তারিখ।

Calcutta High Court: চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা রহস্যমৃত্যু মামলা: তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ আদালতের
প্রজ্ঞাদীপা রহস্যমৃত্যু মামলাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2023 | 5:13 PM

কলকাতা: তরুণী চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যমৃত্যুর তদন্তের গতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ হাইকোর্টের। সোমবার এই মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ডিআইজি ও ডিজিকে ব্যারাকপুর থানার ওই তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং কমিশনকে মঙ্গলবারের মধ্যে চার্জশিট পেশ করতে হবে আদালতে।

বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য, “৫৯ দিন হয়ে গেল। তদন্তকারী অফিসার অপেক্ষা করছেন যাতে ৬০ দিন পেরিয়ে যায়। তাহলে ওই অভিযুক্ত জেল থেকে বের করতে পারবেন।”

মামলাকারীর আইনজীবী লিটন মৈত্রের বক্তব্য, এই মামলায় গত শুনানিতে নির্দেশ ছিল তদন্তকারী অফিসার ১০ অগষ্টের মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসএসকেএম-এ জমা করবেন। কিন্তু তিনি তা না করে ওই রিপোর্ট জমা করেন ১৮ তারিখ। সেই জন্য এসএসকেএম আজ কোনও রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে পারেনি।

প্রসঙ্গত,প্রজ্ঞাদীপা হালদার পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কৌশিক সর্বাধিকারি নামে বারাকপুর সেনা হাসপাতালের চিকিৎসকের বিয়ে হয় ২০১৯ সালে। তারপর চলতি বছরের ২০ জুন প্রজ্ঞাদীপাকে তাঁর স্বামীর ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর মৃতার পরিবার বারাকপুর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। জুন মাসের ২৩ তারিখে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতারও করা হয় ।

বারাকপুর সেনা ছাউনির মেন্ডলা হাউজ় থেকে প্রজ্ঞাদীপার দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করে পুলিশ। তদন্ত সেভাবেই এগোচ্ছিল। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ আবারও যে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে তল্লাশি চালায়। সেখানে একটি বিয়ারের বোতল উদ্ধার হয়। তার নীচে একটা কাগজের টুকরো চাপা ছিল। দু’জনের মধ্যে অশান্তি চলছিল। তা নিয়ে মানসিক অবসাদে ছিলেন প্রজ্ঞাদীপা। কৌশিকের বিরুদ্ধে প্রজ্ঞাদীপাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।