Malda Blast: মালদার বিস্ফোরণে রাজ্যের রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট, পার্টি করতে হবে NIA-কেও, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের
Calcutta High Court: গোটা ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে হবে আদালতে। মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৭ মে।
কলকাতা : মালদায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। মালদার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পরপরই ঘটনার মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলে মামলা করেছিলেন আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায়। ওই মামলায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এই মামলায় এনআইএ-কে পার্টি করতে হবে। এর পাশাপাশি গোটা ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে হবে আদালতে। মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৭ মে।
মামলাকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতে জানান, “মালদাতে ৫ জন শিশু খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনার তদন্ত এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হোক।” ঘটনাটি ঘটেছিল ২৪ এপ্রিল। মালদার কালিয়াচকে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর জমির পাশের জমিতেই বোমা ফাটে। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। তখন ওই জায়গায় কয়েকজন শিশু খেলছিল। বিস্ফোরণে জখম হয় পাঁচ শিশু। ওই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, যেখানে ওই বিস্ফোরণটি হয়েছিল, তার পাশের জমিতেই একটি পরিত্যক্ত কুয়ো রয়েছে। ওই কুয়োর ভিতর থেকে দুই জার বোমা উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, ওই জমিটি স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর। নাম সেন্টু শেখ। তাঁর ভাইপো যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শরিফ হোসেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গ্রামে গিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, বেআইনি অস্ত্র, বোমা উদ্ধার করতে হবে। তার পর থেকেই জেলায় জেলায় বেআইনি অস্ত্র ও বোমা উদ্ধারের হিড়িক লেগে যায়। কিন্তু এরই মধ্যে মালদার কালিয়াচকে বোমা বিস্ফোরণ এবং তাতে পাঁচ শিশু জখম হওয়ায় রাজ্যের অস্বস্তি আরও বেড়েছে। রাজ্যের সেই অস্বস্তি আরও বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই জারভর্তি বোমা কুয়োর মধ্য়ে কীভাবে এল? কে বা কারা রেখে গিয়েছিল? এমন বেশ কিছু প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করে দিয়েছে। এরই মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট।