Calcutta High Court: দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পালনেও বিলম্ব রাজ্যের! অ্যাসিড হামলার একটি মামলায় তীব্র অসন্তোষ হাইকোর্টের
Calcutta High Court: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে অ্যাসিড হামলার মামলার রায়দান ছিল। রায়দানের সময় নির্দেশনামায় এই বিষয়গুলি উল্লেখ করেন বিচারপতি। ২০১৫ সালের মে মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের এক নাবালিকা ও তাঁর ভাইয়ের ওপর অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটে।
কলকাতা: উন্নয়ন-সুশাসনের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে কার্যকর করতেও রাজ্য পিছিয়ে পড়ছে। অ্যাসিড হামলায় আক্রান্ত এক নাবালিকার মামলায় রায়দানের সময়ে বুধবার রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফ। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রী গোপাল কৃষ্ণ গোখেল একসময় বলেছিলেন, বাংলা আজকে যা ভাবে, ভারতবর্ষ তা আগামীকাল ভাবে…, উনিশের শতকের গোড়ার দিকে এই বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক ছিল। কিন্তু আজকের বাংলার এই বক্তব্যের বিপরীত দিকে অবস্থান করছে।”
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে মহীয়সী নারীদের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, “যে রাজ্য একসময় বেগম রোকেয়া, শাখাওয়াত হোসেন, সরোজিনী নাইডুর মত মহিলাদের প্রগতিশীল নারীবাদী বক্তৃতার জন্য সুপরিচিত ছিল , সেই রাজ্য আজকে তার নারীবাদী শিকড় ভুলে গেছে।”
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে অ্যাসিড হামলার মামলার রায়দান ছিল। রায়দানের সময় নির্দেশনামায় এই বিষয়গুলি উল্লেখ করেন বিচারপতি। ২০১৫ সালের মে মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের এক নাবালিকা ও তাঁর ভাইয়ের ওপর অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটে। পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন দুই ভাইবোন। মামলা চলাকালীন আক্রান্ত ভাই আর্থিক সাহায্য পেলেও, নাবালিকা দিদি এখন পর্যাপ্ত সাহায্য পায়নি। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩ লক্ষ টাকা পেয়েছেন নাবালিকা। মামলাকারির দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং NALSA বা National Legal Services Authority র প্রকল্প অনুযায়ী অ্যাসিড হামলার ক্ষেত্রে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য পেতে পারেন আক্রান্তরা। এবং আক্রান্ত যদি নাবালিকা হন তাহলে আরও ৫০ শতাংশ বেশি পাবেন তিনি। কিন্তু এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ নাবালিকার আইনজীবীর।
চার সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত নাবালিকাকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। তখনই বিচারপতি বলেন, “উন্নয়ন-সুশাসনের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে কার্যকর করতেও রাজ্য পিছিয়ে পড়ছে।”
বিচারপতি স্পষ্ট করে দেন, রাজ্য চার সপ্তাহের মধ্যে এই টাকা রাজ্য আইনি সহায়তা কেন্দ্রের কাছে জমা করবে এবং তারপর এই টাকা পাবেন আক্রান্ত। ৮ সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে রাজ্যকে গাইডলাইন তৈরি করারও নির্দেশ দেন।