চিটফান্ড মামলায় বড়সড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের, আশার আলো লগ্নিকারীদের চোখে

আইনজীবী মহলের একাংশও যথেষ্ট খুশি এতে। করোনা (COVID-19) পরিস্থিতিতে মানুষের হাতে টাকা এলে ভাল মনে করছেন আইনজীবী অরিন্দম দাস।

চিটফান্ড মামলায় বড়সড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের, আশার আলো লগ্নিকারীদের চোখে
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 04, 2021 | 3:57 PM

কলকাতা: এবার একই সঙ্গে ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থাগুলিতে টাকা রেখে প্রতারিতদের স্বার্থে জনস্বার্থ মামলারও শুনানি চলবে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। রাজ্যে চিটফান্ড মামলার বিচারের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে তা এক বড়সড় পদক্ষেপ আদালতের। চিটফান্ডকাণ্ডের মামলাগুলি দীর্ঘদিন এজলাসে না ওঠায় প্রতারিতদের নালিশকে আমল দিয়ে বিভিন্ন কেসের তথ্য তলব করলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। আগামী ৭ তারিখ প্রথম মামলা শুনবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তার পর তালিকা ধরে প্রতিটি মামলার জন্য সময় দেওয়া হবে।

বহু দিন ধরেই চিটফান্ড সংক্রান্ত বহু মামলা হাইকোর্টে জমছে। প্রায় শতাধিক মামলা রয়েছে। শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সমস্ত মামলা নিজের এজলাসে নিয়ে নেন। বিভিন্ন বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা বা চিটফান্ডগুলিতে টাকা রেখে কয়েক লক্ষ মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন। তাঁদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেলুরের ডিভিশন বেঞ্চ বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেই বেঞ্চেই মূলত টাকা ফেরানো, সম্পত্তি বিক্রি, সম্পত্তির হিসাবনিকেশ-সহ বিভিন্ন ইস্যুর শুনানি হত।

আরও পড়ুন: মহামারীতে নিয়মে বদল, ভোটপ্রার্থীদের খরচের খতিয়ান সই হচ্ছে অনলাইনে

বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল শুক্রবার যাবতীয় মামলার শুনানির জন্য উদ্যোগী হন। প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, যে কোনও একটি চিটফান্ড সংস্থার যাবতীয় মামলা এখন থেকে তিনি শুনবেন। স্বভাবতই এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার হয়েছে আমানতকারীদের। দ্রুত শুনানি হলে টাকা ফেরত পেতে পারেন তাঁরা।

ইতিমধ্যেই ৫৪টি চিটফান্ড কোম্পানির মামলা তালুকদার কমিটি শুনছে। সেই কমিটির তালিকা চায় ডিভিশন বেঞ্চ। অন্যদিকে টাওয়ার গ্রুপের সম্পত্তি কিনতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন দুই ব্যক্তি। সোমবারের মধ্যে বেশ কিছু মামলাও শুনবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

আইনজীবী মহলের একাংশও যথেষ্ট খুশি এতে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের হাতে টাকা এলে ভাল মনে করছেন আইনজীবী অরিন্দম দাস। আবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবীর কথায়, এত বছরেও মামলা এগোল না। হঠাৎ করে দ্রুত এই মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যাবে এমনটা মনে হয় না।