AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mandarmani: কী হবে মন্দারমণির হোটেলগুলির ভবিষ্যৎ? সমুদ্র থেকে কত দূরে নির্মাণ করা যায় হোটেল?

Calcutta High Court: মন্দারমণির হোটেল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে মামলা। পরিবেশ আদালত সমুদ্র সৈকতের কাছে থাকা হোটেলগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল।

Mandarmani: কী হবে মন্দারমণির হোটেলগুলির ভবিষ্যৎ? সমুদ্র থেকে কত দূরে নির্মাণ করা যায় হোটেল?
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2025 | 4:06 PM
Share

কলকাতা: পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, মন্দারমণিতে ১৪০টি হোটেল, রেস্তোরাঁ ভেঙে ফেলার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। পরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হওয়ায় আপাতত হোটেল ভাঙার কোনও প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। হোটেল মালিকদের করা সেই মামলায় এবার কেন্দ্রের কাছে উত্তর চাইল আদালত। কোনও স্পষ্ট জবাব না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট।

কয়েক মাস আগে হোটেল ভাঙার নোটিস দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নির্দেশ নিয়ে সরব হন। পরে মামলা হয় হাইকোর্টে। শুক্রবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। এদিন হাইকোর্টে বিচারপতি জানতে চান কোস্টাল রেগুলেশন জোন আছে কি না। কেন্দ্র জানায়, এ রাজ্যে আদৌ কোনও কোস্টাল রেগুলেশন জোন নেই। কেন্দ্রের আইনজীবীর এমন উত্তরে বিস্মিত আদালত। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার কতদূরে নির্মাণ করা যাবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা থাকে। সেই দূরত্বকেই কোস্টাল রেগুলেশন জোন বলে।

মন্দারমণি-মামলায় কেন্দ্র জানাল এই ধরণের কোনও ডিমার্কেশন নেই তাদের। এএসজি অশোক চক্রবর্তী জানান, যারা এই দায়িত্বে আছে, তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও চিহ্নিতকরণ হয়নি বলেই জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, জাতীয় পরিবেশ আদালতের প্রিন্সিপাল বেঞ্চ দিল্লিতে। হাইকোর্টে কীভাবে চ্যালেঞ্জ হতে পারে?

পরিবেশ দফতরের আইনজীবী নয়ন বিহানী বলেন, “এখানে রাজ্য পরিবেশ দফতরের কোনও হাত নেই। কাকে অনুমতি দেওয়া হবে, সেই বিষয়টি কেন্দ্রীয় বন দফতরের আওতায় রয়েছে।” অর্থাৎ ক্লিন চিট দেওয়ার বিষয়টি কেন্দ্রের হাতে বলেও জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রক সেটা দেয়।

বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, রাজ্য হোটেল মালিকদের সমর্থন করে যাচ্ছে। আর কেন্দ্র কোনও উত্তর দিতে পারছে না। বিচারপতি জানিয়েছেন, এখন আদালত শুধু দেখবে যে আইন অনুযায়ী হোটেল চালানো যায় কি না। শেষ সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বতী নির্দেশ বহাল থাকবে।