AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Load Shedding-CESC: রাত ১০ টা ৪৫ বাজলেই কেন বাড়ছে বিভ্রাট? লোডশেডিং নিয়ে কী বলছে CESC?

Load Shedding in Kolkata: গত বছর ১৬ জুন বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছেছিল ২,৬০৬ মেগাওয়াটে, যা সংস্থার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গত শুক্রবার সেই রেকর্ড ভেঙে গিয়ে নতুন চাহিদা পৌঁছেছে ২,৭২৮ মেগাওয়াটে। অনেকেই বলছেন, সঠিক পরিকল্পনা করতেও ব্যর্থ হয়েছে সিইএসসি।

Load Shedding-CESC: রাত ১০ টা ৪৫ বাজলেই কেন বাড়ছে বিভ্রাট? লোডশেডিং নিয়ে কী বলছে CESC?
লোডশেডিং-এ নাজেহাল বাংলাImage Credit: GFX- TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 01, 2024 | 3:25 PM
Share

কলকাতা: বেহালা থেকে দমদম, টালিগঞ্জ থেকে যাদবপুর, সিইএসসি-র অন্তর্গত বিস্তীর্ণ এলাকায় গত কয়েকদিনে যেভাবে লোডশেডিং হচ্ছে, তাতে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। বৃহত্তর কলকাতার একাধিক অংশ দিনের বেলার পাশাপাশি সারা রাত অন্ধকারের ডুবে থাকছে। প্রবল গরমে রাত বাড়লে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন মানুষজন। সিইএসসি কেন কোনও আগাম পরিকল্পনা নিল না, সেই প্রশ্নই তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে এবারও সেই এসি মেশিনের ওপরেই দায় চাপাচ্ছে সংস্থা।

সিইএসসি’র তরফে দাবি করা হচ্ছে, এসি মেশিন কেনার ব্যাপারে সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই লোড কতটা প্রয়োজন সেই অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। সিইএসসি-র কাছে যে তথ্য আছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে কলকাতার বুকে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার এসি বিক্রি হয়েছে। কিন্তু সিইএসসি মাত্র ৩৮ হাজার এসি-র জন্য আবেদন পেয়েছে। যে কারণে ওভারলোড হয়ে গিয়ে ট্রান্সফরমার পুড়ে যাচ্ছে।

সিইএসসি সূত্রে খবর, বিদ্যুতের চাহিদা সবথেকে বেশি হয় রাত ১০ টা ৪৫ মিনিট থেকে রাত ১২টা ১৫ মিনিটের মধ্যে। এই সময়কার চাহিদা প্রতিদিন প্রায় ২৫০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাচ্ছে। হিসেব বলছে, মূলত এক হাজারটি এক টনের এসিতে মোট ১ মেগাওয়াট বিদ্যুত লাগে। সেইমতো বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখে সিইএসসি। কিন্তু একটি বাড়িতে তথ্য প্রাপ্তি অনুযায়ী, একটি বা দুটি এসি মেশিন থাকার কথা বললেও, আদতে সেই বাড়িতে ৪টির বেশি এসি মেশিন থাকছে বলে দাবি সিইএসসি-র।

গত বছর ১৬ জুন বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছেছিল ২,৬০৬ মেগাওয়াটে, যা সংস্থার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গত শুক্রবার সেই রেকর্ড ভেঙে গিয়ে নতুন চাহিদা পৌঁছেছে ২,৭২৮ মেগাওয়াটে। অনেকেই বলছেন, সঠিক পরিকল্পনা করতেও ব্যর্থ হয়েছে সিইএসসি। সিইএসসি-র কর্তাদের একাংশের দাবি, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কোথাও লোডশেডিং হয়নি। ওভারলোডিংয়ের জন্য ট্রিপ বা ফল্টের কারণে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। তবে আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি, তাতে এ রকম গরম চলতে থাকলে আগামিদিনে পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।