CBI on RG Kar Case: ৫৫ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট, ধৃত সিভিকই খুন-ধর্ষণ করেছে, দাবি CBI-র
CBI on RG Kar Case: পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এরইমধ্যে একই মামলায়, তথ্য প্রমাণ লোপাটে যড়যন্ত্র করার অভিযোগ ওঠে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
কলকাতা: পুজোর মধ্যেই তিলোত্তমা কাণ্ডে চার্জশিট দিল সিবিআই। তদন্তভার হাতে পাওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় প্রথম চার্জশিট দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারই ধর্ষক ও খুনি, চার্জশিটে উল্লেখ সিবিআইয়ের। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খুন-ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চেস্ট মেডিসিনের এক পিজিটিকে। যা নিয়ে আজও উত্তাল রাজ্য। শুরুতেই এ মামলার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছিল এই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। যদিও শুরু থেকেই একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠেছিল কলকাতা পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে।
পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এরইমধ্যে একই মামলায়, তথ্য প্রমাণ লোপাটে যড়যন্ত্র করার অভিযোগ ওঠে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এই দু’জনকেও পরবর্তীতে গ্রেফতার করে সিবিআই। এবার তদন্তভার হাতে নেওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় শিয়ালদহ কোর্টে চার্জশিট দিল সিবিআই।
সূত্রের খবর, চার্জশিটের মূল অংশটি প্রায় ২১৩ পাতার। ২০০ জন সাক্ষীর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিট। সেই সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের কথা উঠে আসছে। সিবিআইয়ের দাবি, সেই মূলত খুন ও ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর সঙ্গে অপর দুই অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের কথাও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তাতে লেখা হয় এই দুই ব্যক্তিও এ ঘটনাকে লঘু করার চেষ্টা করেছেন, তথ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন।