Srijan Bhattacharya: দল দেয় মাসে ৫ হাজার, যাদবপুরে বামেদের তুরুপের তাস যাদবপুরের প্রাক্তনী সৃজন

Srijan Bhattacharya: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বলছে, নানা জায়গায় বিনিয়োগ ও ব্যাঙ্কে থাকা টাকার অঙ্ক মিলিয়ে তাঁর হাতে থাকা মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯ টাকা। সেখানে তাঁর স্ত্রীর হাতে আছে ২ লক্ষ ৮১৭ টাকা।

Srijan Bhattacharya: দল দেয় মাসে ৫ হাজার, যাদবপুরে বামেদের তুরুপের তাস যাদবপুরের প্রাক্তনী সৃজন
সৃজন ভট্টাচার্য Image Credit source: Facebook

Mar 15, 2024 | 5:45 PM

কলকাতা: শেষ বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন সিঙ্গুর থেকে। লড়েছিলেন তৃণমূলের বেচারাম মান্না, বিজেপির রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। তবে জয় আসেনি। এবার সেই সৃজন ভট্টাচার্যই লড়ছেন লোকসভা নির্বাচনে। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে তাঁকে টিকিট দিয়েছে দল। সৃজন নিজেও এই লোকসভা কেন্দ্রেরই বাসিন্দা। ছোট থেকে কলকাতাতেই বড় হয়েছেন সৃজন। বাড়ি হালতুর কায়স্থপাড়ায়। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এসএফআই থেকে সরে আসেন সৃজন, প্রতীকউর রহমানরা। দীর্ঘদিন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব ছিল সৃজনের কাঁধে। রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব ছিল প্রতীকউরের কাঁধে। তাঁর পর থেকেই সৃজনের প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে কোন আসন থেকে তিনি দাঁড়াতে পারেন সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছিল না। 

মাসে ৫ হাজার টাকা ভাতা

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বলছে, নানা জায়গায় বিনিয়োগ ও ব্যাঙ্কে থাকা টাকার অঙ্ক মিলিয়ে তাঁর হাতে থাকা মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯ টাকা। সেখানে তাঁর স্ত্রীর হাতে আছে ২ লক্ষ ৮১৭ টাকা। ২০১০ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন সৃজন। বারো সালে উচ্চমাধ্যমিক। ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি। শুরু থেকেই পথ চলা ভারতের ছাত্র ফেডারশনের সঙ্গে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। যাদবপুর থেকেই স্নাতকোত্তর পাশ করেন ২০১৭ সালে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই নানা আর্থ-সামাজিক ইস্যুর আঙ্গিকে চলা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে সৃজনকে। তবে শুধু ক্যাম্পাস রাজনীতি নয়, ছাত্র জীবন থেকেই মাঠে ময়দানে নেমে বাম রাজনীতিতে হাত পাকান সৃজন। ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি দলের মূল সংগঠনেও বাড়তে থাকে গ্রহণ যোগ্যতা। সিপিএমের হোলটাইমার হিসেবে মাসে ৫ হাজার টাকা ভাতা পান তিনি।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হার মানতে হলেও রাজনীতির ময়দানে ফের তিনি ফিরে এসেছেন নতুন উদ্যোমে। টিভি চ্যানেলের টক শো থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, সবক্ষেত্রেই বামেদের সরকারি বিরোধী মুখ হিসাবে উঠে এসেছেন। নবান্ন অভিযানে যেমন খেয়েছেন পুলিশের মার তেমনই চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনেও বারেবারে পাশে দাঁড়াকে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিধানসভা ভোটে লড়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও লোকসভায় এই প্রথম দাঁড়াচ্ছেন সৃজন। এখন দেখার যাদবপুরের মানুষ কতটা গ্রহণ করেন যাদবপুরের এই প্রাক্তনীকে।