CID: গ্রেফতারির পরও অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখতে পারল না CID
CID: মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী থানা এলাকায় একাধিক মাদক পাচারকারী গ্যাং সক্রিয় এবং এই চক্রের পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের একাংশের মদত রয়েছে। দায়ারামপুরের বাসিন্দা এই যুবকও এরকম একটি পাচারকারী চক্রের সদস্য, যার পেছনে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদত।

কলকাতা: বিএসএফের ধরা আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারীকে হেফাজতে রাখতে পারল না CID। কলকাতা আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারীকে পাকড়াও করেছিল সীমান্ত রক্ষা বাহিনী। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়ার ‘গড়িমসি’- তে জামিন পেয়ে গেল অভিযুক্ত। ২০২২ সালের জুন মাসে মুর্শিদাবাদ জেলার দায়ারামপুর সীমান্ত এলাকা থেকে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর অভিযানে প্রায় ৯০০ বোতল নিষিদ্ধ ফেনসিডিল সিরাপ বাংলাদেশে পাচার করার সময় গ্রেফতার হয় আলমগির শাহ নামে এক যুবক।
মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী থানা এলাকায় একাধিক মাদক পাচারকারী গ্যাং সক্রিয় এবং এই চক্রের পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের একাংশের মদত রয়েছে। দায়ারামপুরের বাসিন্দা এই যুবকও এরকম একটি পাচারকারী চক্রের সদস্য, যার পেছনে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদত। সীমান্তরক্ষী বাহিনী ওই যুবককে বাজেয়াপ্ত মাদক -সহ রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে ওই মামলার তদন্ত ভার গ্রহণ করে রাজ্য পুলিশের সিআইডি।
সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে চার্জশিট জমা দিলেও, অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে জেরা করে ওই চক্রের মাথা পর্যন্ত পৌঁছতে ব্যর্থ হন সিআইডি র গোয়েন্দারা। এই বছর মার্চ মাসে কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানালেও সেই আবেদন খারিজ করে আদালত। কিন্তু এই বছর জুলাই মাসে ফের কলকাতা উচ্চ আদালতে আর্জি জানান অভিযুক্ত।
২০২২ সালে চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেও নিম্ন আদালতে কেনো বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। সেই নালিশ নিয়ে আদালতে পৌঁছন অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, এর পরেও বিচার প্রক্রিয়া বা চার্জ গঠন প্রক্রিয়া বেশি দূর এগোয়নি। জুলাই মাসেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় অভিযুক্ত। গতকাল ৪ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালতে বিচারপতি গভাই এবং নরসিমার বেঞ্চ অভিযুক্তর জামিন মঞ্জুর করেন।





