Calcutta High Court: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঘুঘুর বাসা’, ২ কোটি টাকা নয়ছয়ে নতুন তদন্ত রিপোর্ট দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের
Calcutta High Court: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা নয়ছয়ের মামলার শুনানিতে এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিআইডি-র কাছে জানতে চান, "আর কতদিন লাগবে তদন্ত শেষ করতে? কবে চার্জশিট দেবেন?" বিচারককে সিআইডি-র আইনজীবী বলেন, "আরও চার সপ্তাহ লাগবে অন্তত। প্রচুর নথি রয়েছে।"
কলকাতা: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তাদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ। সিআইডি প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে জানায়, অন্তত ২ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। সিআইডি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। ৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা এখন জামিনে মুক্ত। আর দু’জন আগাম জামিন নেন। একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ। এখনও পর্য ৪০ জন সাক্ষী দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। ওই শুনানিতে সিআইডি নতুন করে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে বলে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা নয়ছয়ের মামলার শুনানিতে এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিআইডি-র কাছে জানতে চান, “আর কতদিন লাগবে তদন্ত শেষ করতে? কবে চার্জশিট দেবেন?” বিচারককে সিআইডি-র আইনজীবী বলেন, “আরও চার সপ্তাহ লাগবে অন্তত। প্রচুর নথি রয়েছে।”
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা নয়ছয়ের মামলায় ECIR দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে ইডি-ও। এদিন ইডির আইনজীবী জানান, ECIR দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ইডির রিপোর্ট দেখে বলেন, “২০২৪ সালের জুলাইয়ের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইডি। নতুন রিপোর্ট নেই কেন?”
এই খবরটিও পড়ুন
তারপরই বিচারপতি জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওইদিন সিআইডি ও ইডিকে নতুন তদন্ত রিপোর্ট দিতে হবে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় প্রথমে অভিযোগকারী জানিয়েছিলেন, ২২ লক্ষ টাকার বেশি নয়ছয় হয়েছে। পরে প্রাথমিক তদন্তের পর সিআইডি জানায়, প্রায় ২ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে।