কলকাতা: মানিকতলা,বাগদা, রানাঘাট ও রায়গঞ্জ বিধানসভা উপভোটে চারে চার তৃণমূলের। বড় ব্যবধানে জিতে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। আর তাঁদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “আমার বিশেষ ধন্যবাদ মা-মাটি-মানুষকে। লোকসভা ভোটের পর এর একটা রাজনৈতিক গুরুত্বও রয়েছে। তার কারণ একমাত্র মানিকতলা আমাদের ছিল। গত দু’বছর ধরে কোর্টে একটা কেস করে ভোটটা করতে দেওয়া হয়নি সাধন ধাঁ-র মৃত্যুর পর। সুপ্তির জেতাটা বড় জেতা।”
এরপর একে একে সব প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। বলেন, “রায়গঞ্জে লোকসভা ভোটে বিজেপি-কংগ্রেসকে টাকা দিয়ে ভোট ভাগাভাগি করে সিটটা হারিয়েছিল। সেই সময়ই আমি কৃষ্ণক ল্যাণীকে বলেছিলাম তুমি দাঁড়াও তোমায় জিততে হবে। তুমি বিধায়ক ছিলে এই এলাকায়। তারপরই চ্যালেঞ্জটা ও নেয়। রানাঘাটের মুকুটমণিও তাই। ও বিজেপির বিধায়ক ছিল। লোকসভা ভোটের সময় অপপ্রচার, কুৎসা, নির্বাচন কমিশনের নানা চক্রান্ত ছিলই। এই ভোটে হয়ত সেই জন্য হেরেছিলেন। আগেরবার বিজেপির হয়ে জিতেছিল এবার তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়ে জিতেছেন।”
মমতা আরও বলেন, “বাগদাও তাই। বিশ্বজিৎ ভাল ছেলে। ও নিজেই বলেছিল দিদি আমি পরে লড়ব। এইবার লড়ছি না। তখন আমরা আমাদের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী মধুপর্ণাকে প্রার্থী করি। ও জিতেছে। বিজেপির তিনটে ছিল আর আমাদের একটা। এবার আউট অফ ফোর ফোর হয়েছে। আমি এর জন্য সমস্ত মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আজকের এই জয় মানুষের জয়। আবার নতুন করে দায়বদ্ধতা বেড়ে গেল। বাংলার মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় কাজ করব। লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের জয় ডেডিকেট করব ২১ জুলাই। অনেক চক্রান্ত, বাধা, এজেন্সি, বিজেপির মানুষ রুখে দিচ্ছেন। সমাজসেবাই আমাদের কাজ। এর থেকে কেউ বিচ্যুত হলে নিজেরটা নিজে বুঝে নেবে। গোটা দেশেই শুনেছি বিজেপি পর্যুদস্ত হয়েছে।”