CM Mamata Banerjee: ‘আপনারা ভাল বুঝে করবেন’, ‘বদলা’র পরিবর্তে কী ইঙ্গিত দিলেন মমতা
CM Mamata Banerjee: এ দিন মুখ্যমন্ত্রী আদ্যপান্ত বিজেপিকে দুষছিলেন বিভিন্ন ইস্যুতে। আরজি কর-ঘটনা নিয়ে বাংলার সঙ্গে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা। তখনই তিনি বলেন, "আমায় অনেক গালাগালি দিয়েছেন। অনেক অসম্মান করেছেন।
কলকাতা: বুধবার মেয়োরোডের বক্তৃতায় রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ‘কথামৃত’-র একটি গল্পের উদাহরণ দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরা সভা থেকে দলকে ‘ফোঁস’ করার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর। একই সঙ্গে কারও গায়ে হাত দিতে বারণও করে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রয়োজনে ফোঁস করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা। আর মুখ্যমন্ত্রী এ হেন বক্তব্য যে যথেষ্ঠ ইঙ্গিতপূর্ণ তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে না রাজনৈতিক মহল। বাম-বিজেপি -র এক যোগে দাবি, এই সভা থেকে উনি কার্যত উস্কানি দিলেন।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী আদ্যপান্ত বিজেপিকে দুষছিলেন বিভিন্ন ইস্যুতে। আরজি কর-ঘটনা নিয়ে বাংলার সঙ্গে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা। তখনই তিনি বলেন, “আমায় অনেক গালাগালি দিয়েছেন। অনেক অসম্মান করেছেন। আমি অনেক ভেবেছি। তবে দেখলাম আমি এদের বিরুদ্ধে কখনও বদলা নিইনি। আমরা বলেছিলাম এদের বিরুদ্ধে বদল চাই বদলা নয়।” এরপর কয়েক সেকেন্ড চুপ করে ফের বলেন, “আজ বলছি, যেটা করার দরকার সেটা আপনারা ভাল বুঝে করবেন।”
এই কথা বলার পর মুহূর্তেই জানান যে, তিনি অশান্তি চান না। তবে, কুৎসা অপপ্রচার চক্রান্ত করে যে আপনাকে রোজ কামড়াচ্ছে আপনি তাঁকে কামড়াবেন না।” এরপরই তিনি ‘কথামৃতের’ প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, “আপনারা ফোঁস তো করতে পারেন। আপনারা ফোঁস করতে শিখুন। ওদের বলবেন বাংলায় দাঙ্গা হয় না।” এরপর তাঁর হুঁশিয়ারি, “বিজেপির সঙ্গে মিশে গিয়ে এরপর তিনি এও বলেন, “বাইরে থেকে যারা এসেছেন। এখানে থাকবেন। মনে রাখবেন বিজেপির সঙ্গে মিশে পুলিশ পেটালে আপনার গায়েও কেউ হাত দিতে পারে। সেটা যেন না হয়। আমি কাউকে গায়ে হাত দিতে বলব না। আমি কোনও মৃত্যু চাই না। দুঃখ চাই না।”
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কিছু না বলেই শুধু রবীন্দ্র সংগীত বাজাতে বলে ২০১৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ২১৭ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করেছেন। এবার বলছেন সাধারণ মানুষের উপর ঝাঁপাও। যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের উপর ঝাঁপাও। আন্দোলন যখন সর্বব্যাপী হয়ে গিয়েছে তখন উনি সমস্ত ব্যবস্থা ছেড়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যে বক্তব্য রাখছেন তা ইঙ্গিতবাহী।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “উনি সভা ডেকে উস্কানি দিলেন। কথামৃতকে ব্যবহার করে এই উস্কানি দিয়েছেন এর থেকে ঘোরতর অপরাধ কিছু হয় না। তার কেটে যেমন হয়,সেই রকম হাবভাব দেখা যাচ্ছে। দশ-বারো দিন মৌনতা রেখে হঠাৎ করে এমন উস্কানি দিলেন। এটা খুব দুর্ভাগ্য।”