
কলকাতা: ভোটের দামামা বাজাতে না বাজতেই অগস্টেই বাংলায় এসে সুরটা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একাধিক মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনের পর যোগ দিয়েছিলেন দলীয় সভায়। স্পষ্ট বলেছিলেন বাংলার গৌরবময় অতীতকে ফিরে পেতে তৃণমূলকে সরাতেই হবে। তোপের পর তোপ দেগেছিলেন বাংলার শাসকদলের বিরুদ্ধে। তখনই বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়ে মোদীর মুখে প্রথমবার শোনা গিয়েছিল ‘বাঁচতে চাই, বিজেপি তাই’। তাই এখন মন্ত্রের মতো জপছেন পদ্ম নেতারা। পরিবর্তন সংকল্প যাত্রাতেও লাগাতার সেই কথাই শোনা যাচ্ছে সুকান্ত মজুমদারদের গলায়। এবার স্লোগান যুদ্ধে নেমে পড়লেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বাংলাকে আঘাত করলেই প্রত্যাঘাত, এদিন মতুয়াগড়ে গিয়ে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে কার্যত এ ভাষাতেই হুঙ্কার শোনা গেল মমতার মুখে। তাঁর দাবি, বাংলা দখল করতে গিয়ে গুজরাত হারাবে, দেশ হারাবে। আক্রমণের ধার ধাপে ধাপে চড়াতে চড়াতে বর্ক্তৃতার এক্কেবারে শেষ লগ্নে তীব্র ভাষায় তুলোধনা করেন। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে গিয়ে নতুন স্লোগান শোনা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে। বলেন, “সারা দেশটাকেই দখল করেছ। এবার বাংলাটাকেও দখল করতে চাও। কারণ একমাত্র বাংলার মাটি তোমাদের চেনে। তাই পরিষ্কার বলি, চলবে না অন্যায়, টিকবে না ফন্দি, জনগণের আদালতে হতে হবে বন্দি।”
এদিকে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে অমিত শাহের মুখে শোনা গিয়েছিল ‘অব কি বার, দু’শো পারের মতো স্লোগান।’ যদিও বিজেপিকে থামতে হয়েছিল ডাবল ডিজিটেই। তা নিয়ে রোজই রুটিন করে কথা শোনাতে ছাড়ে না তৃণমূল। এরইমধ্যে ভোটের মুখে বাংলায় পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। কয়েকদিন আগেই সুকান্তর মুখেও শোনা গিয়েছিল মোদীর সেই স্লোগান। বলেছিলেন, “গতবার আমরা বলেছিলাম এইবার দু’শো পার। আমরা করতে পারিনি কিন্তু বিহার করে দেখিয়ে দিল। এবার আমরা কোনও সংখ্যা বলতে চাইছি না। আমরা এবার মোদীর স্লোগানের সুরেই বলছি বাঁচতে চাই, বিজেপি তাই।” কটাক্ষ করেছিলেন কুণাল ঘোষ। খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, “বাঁচতে চাই বিজেপি চাই বলেই তো গতবার কিছু লোকজনকে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যাঁদের পিছনে ইডি-সিবিআই ছিল।”