AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Subiresh Bhattacharya: জেলে বসেই সভাপতির পদে সুবীরেশ, অপসারণের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীর দুয়ারে অধ্যক্ষরা

Subiresh Bhattacharya: এজেসি বোস কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি বলছেন, "এখনও সভাপতি পদেই রয়েছেন উনি। আইনত এটি তিনি পারেন না। মানুষের যদি সামান্য লজ্জাবোধ, সম্ভ্রমবোধ থাকে, তাহলে তিনি যেদিন জেলে গেলেন, তার পরের দিনই ছেড়ে দিতেন।"

Subiresh Bhattacharya: জেলে বসেই সভাপতির পদে সুবীরেশ, অপসারণের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীর দুয়ারে অধ্যক্ষরা
সুবীরেশ ভট্টাচার্য
| Edited By: | Updated on: Jan 04, 2023 | 8:58 PM
Share

কলকাতা: নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সংগঠন কে চালাচ্ছেন? জানেন? জেলে বসেই নাকি সংগঠন চালাচ্ছেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। এমনই অভিযোগ তুলছেন কলেজের অধ্যক্ষদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, এখনও এই সংগঠনের সভাপতি পদে রয়েছেন সুবীরেশ। এজেসি বোস কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি বলছেন, “এখনও সভাপতি পদেই রয়েছেন উনি। আইনত এটি তিনি পারেন না। মানুষের যদি সামান্য লজ্জাবোধ, সম্ভ্রমবোধ থাকে, তাহলে তিনি যেদিন জেলে গেলেন, তার পরের দিনই ছেড়ে দিতেন। কিন্তু এখনও পদ আঁকড়ে বসে রয়েছেন। অসংলগ্ন নোটিস দিচ্ছেন। বার্ষিক সাধারণ সভার নোটিস দিচ্ছেন বেআইনিভাবে।”

এই অভিযোগ নিয়ে বুধবার তৃণমূল ভবনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করলেন নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, কোনওভাবেই যেন সুবীরেশ সভাপতি না থাকতে পারেন। শিক্ষামন্ত্রীও তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, নিয়মমাফিক নির্বাচন হবে। তাতে যদি সুবীরেশের সরে যাওয়ার হয়, তবে সরে যাবেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এটি কাউন্সিলের নিজস্ব ব্যাপার। এটি তো সরকারের কোনও ব্যাপার নয়, কাকে রাখা হবে বা কাকে রাখা হবে না। সেটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন করে ঠিক করা হবে। নির্বাচনের ভিত্তিতে ওনারাই ঠিক করবেন, কে সভাপতি হবেন বা অন্যান্য পদে কে আসবেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বলেছি, সর্বতোভাবে সহযোগিতা করব।”

এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর এজেসি বোস কলেজের অধ্যক্ষ জানান, শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন। বললেন, “সভাপতি বেআইনিভাবে আছেন, সেটি তিনি মেনে নিলেন। আমাদের দাবি ছিল, ২২ জানুয়ারি কোচবিহারে যে নির্বাচন ডাকা হয়েছে, সেটিও বেআইনি, সেটি বন্ধ করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ২২ জানুয়ারি মিটিং করা যেতে পারে, কিন্তু নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে কলকাতায় এবং তার আগে কলকাতা কমিটির গঠন সম্পূর্ণ করতে হবে। আমাদের দাবির ১০০ শতাংশই আমরা সফল।”