Byron Biswas: ‘পারলে তৃণমূলের কিছু বিধায়ক টেনে নেব’, শপথ নিয়েই শাসককে হুঁশিয়ারি বাইরনের
Byron Biswas Oathtaking: বিধানসভায় শপথ নেওয়ার পরই কার্যত বোমা ফাটালেন কংগ্রেস বিধায়ক। বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। উল্টে, পারলে তৃণমূলের থেকে লোক নিয়ে আসবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কলকাতা: ফোনে শাসানি ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই বুধবার বিধানসভায় (West Bengal Assembly) সাগরদিঘির বিধায়ক হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করলেন বাইরন বিশ্বাস (Byron Biswas)। ভোটে জেতার ২০ দিন পর আজ শপথ নিলেন বাইরন। বিধানসভায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল। তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। কেন বাইরনের বিধায়ক পদে শপথ নিতে এতদিন দেরি হচ্ছিল, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এরই মধ্যে একটি ফোন রেকর্ডিংও প্রকাশ্যে এসেছিল, যেখানে এক ব্যক্তিকে অকথ্য গালিগালাজ ও হুমকি দিতে শোনা যাচ্ছিল। দাবি করা হচ্ছিল, যিনি গালি ও হুমকি দিচ্ছিলেন, তিনি বাইরন বিশ্বাস। যদিও সেই ফোন রেকর্ডিং-এর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি নাইন বাংলা। আর এইসব বিতর্কের মাঝেই এবার বিধায়ক পদে শপথ নিলেন বাইরন।
এদিন বিধানসভায় শপথ নেওয়ার পরই কার্যত বোমা ফাটালেন কংগ্রেস বিধায়ক। বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। উল্টে, পারলে তৃণমূলের থেকে লোক নিয়ে আসবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। জানালেন, তৃণমূলের বহু মন্ত্রীর সঙ্গেই তাঁর কথা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। বাইরনের বক্তব্য, কার সঙ্গে কার আঁতাত রয়েছে, তা মানুষ বোঝেন। উল্লেখ্য, এদিন বাইরনের শপথ নিয়ে বিজেপি শিবির থেকে তাঁকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়েছে। এবার কি বিধানসভায় বিজেপির সঙ্গে কক্ষ সমন্বয় করবেন বাইরন? প্রশ্ন করা হলে সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বললেন, ‘বিজেপি শুভেচ্ছা জানিয়েছে। আমার সঙ্গে সম্পর্ক ভাল। কিন্তু তাই বলে, রাজনৈতিকভাবে ওদের সঙ্গে জোট করার কোনও পরিকল্পনা নেই। আমাদের বাম-কংগ্রেসই যেমন ছিল, সেটাই ভাল আছে।‘
বাইরন বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘পাবলিক আর বোকা নেই। কার সঙ্গে কার আঁতাত রয়েছে, মানুষ সব বোঝে। তৃণমূলে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। আমি পারলে তৃণমূলের আরও কিছু বিধায়ককে টেনে নেব।’ কংগ্রেস বিধায়কের দাবি, ‘শুভেন্দুদার সঙ্গে আমার কথা হয়। তাতে কী হয়েছে? তৃণমূলের অর্ধেকের বেশি মন্ত্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক আছে। আগে কথা হত। ইদানিং কথা হয় না। সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রয়েছে।’
প্রসঙ্গত একুশের বিধানসভা ভোটের নির্বাচনী আসন সমঝোতায় সংযুক্ত মোর্চা গড়েছিল বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ। সেই সংযুক্ত মোর্চার তরফে বিধানসভায় একমাত্র প্রতিনিধি ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বর্তমান রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষিতে, বিশেষ করে গ্রেফতারি পরবর্তী সময় থেকে সর্বাধিক চর্চিত বিধায়কদের মধ্যেও একজন তিনি। তাহলে কি আগামীতে নওশাদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিধানসভায় কাজ করবেন বাইরন? প্রশ্ন করায় কংগ্রেস বিধায়ক অবশ্য বিষয়টি পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দিয়েছেন। বলছেন, ‘এখনও আলোচনা হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত হবে।’