Kaustav Bagchi: চাকরি বাতিল নিয়ে মমতার মন্তব্যে বিতর্ক, হাইকোর্টে মামলার আবেদন কৌস্তভের

Kaustav Bagchi: এরপরই আজ সরব হন কৌস্তভ। এই মুহূর্তে কলকাতায় নেই তিনি। সেই কারণে ইমেল মারফত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে গোটা ঘটনাটি তুলে ধরেছেন। বিজেপি নেতার দাবি, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যদি এই ধরনের আক্রমণ করে গোটা বিচার ব্যবস্থাকে অপমান করেছেন।

Kaustav Bagchi: চাকরি বাতিল নিয়ে মমতার মন্তব্যে বিতর্ক, হাইকোর্টে মামলার আবেদন কৌস্তভের
কৌস্তভ বাগচী, আইনজীবীImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 24, 2024 | 12:30 PM

কলকাতা: হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমকে চিঠি দিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালত সম্পর্কিত মন্তব্য উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে চিঠি। এসএসসি মামলার রায়দানের পর বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছেন মমতা। এই মর্মেই প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন কৌস্তভ।

প্রসঙ্গত, সোমবার এসএসসি মামলার রায়ের পর হাইকোর্ট নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চাকরি হারাদের পাশে থাকার বার্তা দিতে আক্রমণ করেন বিচার ব্যবস্থাকে। হাইকোর্টের রায়কে বেআইনি বলেও উল্লেখ করেন। ‘বিজেপির বিচারালয়’বলেও কটাক্ষ করেন।

এরপরই আজ সরব হন কৌস্তভ। এই মুহূর্তে কলকাতায় নেই তিনি। সেই কারণে ইমেল মারফত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে গোটা ঘটনাটি তুলে ধরেছেন। বিজেপি নেতার দাবি, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যদি এই ধরনের আক্রমণ করে গোটা বিচার ব্যবস্থাকে অপমান করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য প্রধান বিচারপতি যাতে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করেন।

এ প্রসঙ্গে টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কৌস্তভ জানান, “আমি ইমেল করেছি। হার্ড কপিও পাঠানো রয়েছে। যিনি মন্তব্য করেছেন তিনি একজন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগেও বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। এমনকী হাইকোর্টও জানিয়েছিল সাংবিধানিক পদে আসীন এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। এরপর আবারও সেই বিচার ব্যবস্থাকেই আক্রমণ করেছেন। আমি এটা উল্লেখ করেছি ইমেলে যে একাধিকবার বিচার ব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এর পিছনেও কারণ রয়েছে। এত চোররা ধরা পড়ছে তাই কোর্টের সম্পর্কে জনমানসে বিরূপ ধারনা তৈরি করতে চাইছেন।”

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সরব হয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ও। বলেন, “কোনও রায় যদি সরকারের বিপক্ষে যায়,সঙ্গে সঙ্গে বিচারপতিদের রাজনৈতিক ভাবে বিচ্যুতি ঘটেছে এই ভাবে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য করা উচিত নয়। এভাবে আক্রামণ করে তিনি সংবিধানের মূল কথা আইনের শাসনকেই অসম্মান করেছেন। তার প্রতি অনাস্থা পোষণ করেছেন। এটা মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে শোভনীয় নয়।”