Professor Arrested: যাদবপুরের রেজিস্ট্রারকে চিঠি লিখিনি বলেও শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার ‘গর্ভনিরোধক পাঠানো’ রানা
Professor Arrested: টালা থানার পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২ অগস্ট এক মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে নাম জড়ায় কোচবিহারের এই অধ্যাপকের। টালা থানায় ওই মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
কলকাতা: গ্রেফতার কোচবিহারের অধ্যাপক রানা রায়। মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে টালা থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে প্রাণনাশের হুমকি-চিঠিতেও প্রেরক হিসাবে নাম রয়েছে রানা রায়ের। যদিও যাদবপুরের চিঠির বিষয়টি স্বীকার করতে চাননি তিনি। এবার শ্লীলতাহানির অভিযোগে আচার্য গজেন্দ্রনাথ শীল মহাবিদ্যালয়ের এই অধ্যাপককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
টালা থানার পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২ অগস্ট এক মহিলার শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে নাম জড়ায় কোচবিহারের এই অধ্যাপকের। টালা থানায় ওই মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর রবিবার ওড়িশার একটি হোটেল থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত অধ্যাপক।
সম্প্রতি, রানার নাম উঠে আসে খবরে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সৌরভ চৌধুরীকে বাঁচাতে চেয়ে রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই চিঠিতে অশ্লীল ভাষায় লেখা হয়, সৌরভের কোনও ক্ষতি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই আধিকারিকের প্রাণনাশ হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। যদিও রানা রায় বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
তবে এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। যে আবাসনে তিনি থাকতেন অভিযোগ সেখানকার বাসিন্দাকে হুমকি চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি গর্ভনিরোধকও পাঠিছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে আবার তাঁর বিরুদ্ধে আরও এক মহিলা টালা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলার চার্জশিটে আদালতে রানা রায়কে পলাতক উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে রানা রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে শিয়ালদহ আদালত। এরপর চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ রানা রায়কে গ্রেফতার করে। তবে সে যাত্রায় জামিনে মুক্ত হয়ে যান অভিযুক্ত অধ্যাপক। এরপর রবিবার ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগেই গ্রেফতার হলেন তিনি।