Recruitment Scam: তদন্তে অগ্রগতি কোথায়? প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে প্রশ্নের মুখে CBI

CBI: মামলার শুনানি পর্বে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারক। বিচারক বলেন, 'আজ আমি কিছু বলব না। যা করার পেন দিয়ে করব। অগ্রগতি কোথায়। নীলাদ্রি ঘোষ গ্রেফতার হয়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি। তারপর থেকে অগ্রগতি কী আছে?'

Recruitment Scam: তদন্তে অগ্রগতি কোথায়? প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে প্রশ্নের মুখে CBI
সিবিআই তদন্ত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 29, 2023 | 9:40 PM

কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির (Primary Recruitment Scam) মামলায় আবারও প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই (CBI)। তদন্তের অগ্রগতি কোথায়? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার থেকে জানতে চাইল আদালত। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে পেশ করা হয়েছিল আলিপুর আদালতে (Alipore Court)। সেই সময়েই মামলার শুনানি পর্বে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারক। বিচারক বলেন, ‘আজ আমি কিছু বলব না। যা করার পেন দিয়ে করব। অগ্রগতি কোথায়। নীলাদ্রি ঘোষ গ্রেফতার হয়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি। তারপর থেকে অগ্রগতি কী আছে? একই রিমান্ড… আপনি আমার জায়গাতে এসে দেখুন। কী চলছে… মামলা তো পাঁচটা… এফআইআরে নাম রয়েছে, কেন হেফাজতে নেওয়া হয়নি।’ বিচারক বলেন, ‘যা চলছে, সেটা ঠিক চলছে না।’

এদিন আদালতে নীলাদ্রির আইনজীবী প্রশ্ন করেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যা বলছে, নথিতে কি তা আছে? তাঁর বক্তব্য, এমন কোনও অযোগ্য প্রার্থীর বয়ান দেখানো হোক, যিনি তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে সরাসরি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলছেন। তাঁর মক্কেল ৬৯ দিন ধরে হেফাজতে রয়েছেন। এমন অবস্থায় তাঁর জামিনের জন্য আবেদন করেন নীলাদ্রির আইনজীবী। যদিও জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআই আইনজীবী বলেন, ‘জামিন দেওয়া যাবে না। নীলাদ্রির বিরুদ্ধে একাধিক যোগ পাওয়া গিয়েছে এবং সেগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে।’

পাশাপাশি তাপস মণ্ডলের আইনজীবীও এদিন আদালতে জানান, তাঁর মক্কলে অযোগ্য প্রার্থীদের থেকে টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, কিন্তু কোনও আর্থিক লেনদেন দেখাতে পারেনি। আবার কুন্তলের আইনজীবীর বক্তব্য, তদন্তকারী সংস্থা বলছে তাঁর মক্কেল কোনও অযোগ্য প্রার্থীর থেকে টাকা নেয়নি। তাঁর মক্কেলকে টাকা দিয়েছে তাপস মণ্ডল। কুন্তলের আইনজীবীর বক্তব্য, অ্যাডিশনাল প্যানেল তৈরি করার ক্ষমতা তাঁর মক্কেলের নেই। তিনি একজন সামান্য রাজনৈতিক দলের কর্মী। তাঁর প্রশ্ন, ‘যারা এই অ্যাডিশনাল প্যানেল করল তারা কোথায়? তাদের তো আনা হল না… যারা করল, তারা ঘুরে বেরাচ্ছে… কিন্তু পাবলিক সার্ভেন্ট নিজের পদের অপব্যবহার করে প্যানেল তৈরি করল, তারা কোথায়? তাদের নিয়ে আসুক সিবিআই।’

এই কথা শুনে সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয়, ‘ আজ বলছে পাবলিক সার্ভেন্টকে কেন আনা হচ্ছে না… আসবে… সমস্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেই সামনে আসবে… তদন্ত শেষ হয়নি… অযথা দোষারোপ করা হচ্ছে… যোগ আছে… টাকা নিয়েছে… টাকা দিয়েছে… সাক্ষীর বয়ান আছে।’ সিবিআই আইনজীবী আরও বলেন, ‘নীলাদ্রি টাকা নিয়ে কোথায়, কার কাছে পাঠিয়েছে তা জানতে হবে।’

বিচারক বলেন, ‘কেস অনুযায়ী তিন জন আছে। নীলাদ্রি টাকা নিয়ে কুন্তল বা তাপসকে দিয়েছে। যাদের থেকে টাকা নিয়েছে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এপয়েন্টমেন্ট যে দিয়েছে সেই সরকারি আধিকারিকের একজনের নাম বলা হয়েছে। কিন্তু কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?’ সিবিআই জবাবে জানায়, ‘উনি প্রোটেক্টেড পার্সন, আমরা দেখছি বিষয়টা। শুধুই উনিই নন, আরও আছেন সরকারি আধিকারিক।’

সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষ , নীলাদ্রি ঘোষ এবং তাপস মণ্ডলকে ফের ১২ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।