Covid in Bengal: পর পর চারদিন ৭০০ পার সংক্রমণ, পুজোর মুখে বাংলায় ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত
West Bengal: গত চারদিনে সাতশোর নিচে নামেনি সংক্রমণ। নিঃসন্দেহে যা উদ্বেগের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কলকাতা: পুজোর মুখে ফের আতঙ্ক বাড়াচ্ছে রাজ্যে কোভিডের সংক্রমণ। পর পর চারদিন সাতশোর উপরে একদিনের সংক্রমণ রয়েছে। একই সঙ্গে মৃত্যুও দুই সংখ্যার নিচে নামেনি। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, তাতে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৭০৮ জন। মৃত ১৩।
গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এখানে সংক্রমিত হয়েছে ১৪৬ জন। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এরপরই উত্তর ২৪ পরগনার নাম। এখানে একদিনে সংক্রমিত ১১৬ জন। মৃতের সংখ্যা এখানেও চার। একদিনের সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে হুগলি। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬৯ জন। এরপরই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়ার নাম।
পুজোর মুখে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে একটা আতঙ্ক রয়েই গিয়েছে। টিকাকরণ হলে বড় বিপদের ঝুঁকি কম ঠিকই। কিন্তু সংক্রমণ হবে না, এমন কথা কোনও বিশেষজ্ঞই দেননি। ফলে শিশু কিংবা যাঁদের বয়সটা অনেক বেশি বা কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের কাছে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ার কথা বৈকি!
ভাইরোলজিস্ট সুমন পোদ্দার বলছেন, এই মুহূর্তে যে কোনও রকম জমায়েত এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। সামনে পুজো, জমায়েতের প্রবণতাও অনেকটা বেশি থাকবে। যা পরোক্ষে ডেকে আনবে বিপদ। বিশেষজ্ঞ সুমন পোদ্দারের কথায়, “আমরা যদি বিভিন্ন জায়গায় আবারও জমায়েত শুরু করি এবং সেখানে যদি যথাযথ কোভিড বিধি না মানি তা হলে কিন্তু বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাবে।”
এই জমায়েত এড়াতেই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এ বছরও গতবারের মতো পুজো মণ্ডপে নো এন্ট্রি। শুক্রবারই হাইকোর্ট বলেছে, এবারও পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করা যাবে না। করোনার সংক্রমণে পুজো মণ্ডপগুলিতে যাতে কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অমান্য না করা হয়, সেই দাবিতেই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।
তারই রায়দানে আদালত এই সিদ্ধান্ত শোনায়। রাজ্যও আদালতের সেই নির্দেশকে শিরোধার্য করেছে। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি কালীপুজোর মণ্ডপগুলিতেও এই বিধি নিষেধ বলবৎ থাকবে। ২০২০-এর পরে ২০২১। ফের কোভিড আবহে দুর্গাপুজো। টিকাকরণ চলছে। তবু বিপদ এড়াতে পা মেপেই উৎসব হোক চাইছে আদালত, চাইছে রাজ্য। নাগরিকদের একটি অংশও এই বক্তব্যে সহমত।
গত চারদিনে সাতশোর নিচে নামেনি সংক্রমণ। নিঃসন্দেহে যা উদ্বেগের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৮ সেপ্টেম্বর একদিনে এ রাজ্যে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৭০৮ জন। মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের। পরদিন অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৭৪৮-এ। মৃত্যু হয় ১৪ জনের। ৩০ সেপ্টেম্বর একদিনে করোনা আক্রান্ত হন ৭৪৯ জন। মৃত্যু হয় ১৫ জনের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১ অক্টোবর পর্যন্ত এ দেশে টিকাকরণ হয়েছে ৮৯ কোটি ২ লক্ষ। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে এখনও ৫,০০,৪৭,৬৫০ টি টিকার ডোজ় রয়েছে।
আরও পড়ুন: Ghatal Flood Situation: জল কমলেও বিপদ কি টলবে? এবার ঘাটালবাসীর নয়া আতঙ্ক ধস!