CPIM: সিপিএমের অন্দরেই ধুন্ধুমার, সম্মেলনেই এবার সরাসরি উঠল নাম
CPIM: জেলার সিপিএমের ক্ষমতাসীন শিবিরের আর এক নেতা তুষার ঘোষও সুর চড়িয়েছেন বলে এদিনের বৈঠকে থাকা নেতারা জানিয়েছেন। তুষার ঘোষের মতে, নেতৃত্বের একাংশের মদতে এই কাজ করা হয়েছে।
কলকাতা: সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলল সিপিএমের রাজ্য কমিটির সম্মেলন। আর প্রথম দিনে আলোচনায় উঠে এল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির বেনজির ঘটনার প্রসঙ্গ। সিপিএমের মধ্যেই কার্যত গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। একাধিক দলীয় নেতা কমিটি থেকে নিজেদের নাম তুলে নিয়েছেন। তাঁরা আবার সুজন চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এবার সেই প্রসঙ্গই উঠে এলে সম্মেলনে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক রতন বাগচী সরাসরি বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উপদলীয় কার্যকলাপের অভিযোগ করলেন। জেলা কমিটি ১৮ জন প্যানেল থেকে নাম প্রত্যাহার করেছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধেই গোষ্ঠী রাজনীতির অভিযোগ করেছেন রতন বাগচী। শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। ওই জেলার সিপিএমের ক্ষমতাসীন শিবিরের আর এক নেতা তুষার ঘোষও সুর চড়িয়েছেন বলে এদিনের বৈঠকে থাকা নেতারা জানিয়েছেন। তুষার ঘোষের মতে, নেতৃত্বের একাংশের মদতে এই কাজ করা হয়েছে।
তরুণ প্রজন্মকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে সিপিএম-এর জেলা কমিটির প্যানেল থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছিলেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী, খোকন ঘোষ দস্তিদার, কুলতলির প্রাক্তন বিধায়ক রামশঙ্কর হালদারদের মতো সিপিএমের জেলা রাজনীতির পরিচিত মুখরা। নাম প্রত্যাহার করেছেন রাজ্য কমিটির সদস্য রাহুল ঘোষ। জানা যাচ্ছে, যাঁরা নাম প্রত্যাহার করেছিলেন তাঁদের সিংহভাগ জেলা রাজনীতিতে সুজন চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।