AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Crime News: আনোয়ার শাহ রোডে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মহিলাদের

Kolkata: স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ একটি চায়ের দোকানে সামনে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের দুই গোষ্ঠীর যুবকরা একে অন্যকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করছিল। সেখান থেকেই প্রথমে বচসা শুরু হয়। পরে সংর্ষ বাধে।

Crime News: আনোয়ার শাহ রোডে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মহিলাদের
আনোয়ার শাহ রোডে হামলা, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2022 | 6:58 AM
Share

কলকাতা: আচমকা এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল  প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড (Prince Anwar Shah Road)। সেই সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে, গ্রেফতারির ঘটনায় প্রায় ২০-৩০ জন মহিলা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে অভিযুক্ত আরজু গোষ্ঠীর তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গল্ফগ্রীন থানার পুলিশ। সেই গ্রেফতারির প্রতিবাদে রবিবার গল্ফগ্রীন থানার সামনে প্রায় কুড়ি-ত্রিশজন মহিলা জমায়েত করেন ও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারী এক মহিলার কথায়, “পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। ওদের কোনও দোষ নেই।”

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ জমায়েত হটিয়ে দেয়। পাশাপাশি, ধৃতদের লালবাজারে পাঠানো হয়। সোমবার তাদের আদালতে পেশ করা হবে।

এলাকা দখল নিয়ে লড়াই। সেই সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড (Anwar Shah Road) লাগোয়া বড়বাগান বস্তি এলাকা। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল। শুক্রবার দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। চলে ইট বৃষ্টি। ভাঙচুর করা দোকানপাট, অভিযোগ এমনটাই।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার  ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকী, ওইদিনই ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ একটি চায়ের দোকানে সামনে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের দুই গোষ্ঠীর যুবকরা একে অন্যকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করছিল। সেখান থেকেই প্রথমে বচসা শুরু হয়। পরে সংর্ষ বাধে। চলে ইটবৃষ্টি। ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লাঠি নিয়ে মারধর চলে বলেও অভিযোগ। সংঘর্ষের ঘটনায়,  কয়েকটি দোকানের বেহাল অবস্থা।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে ওঠে, যে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চারু মার্কেট, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, গল্ফ গ্রিন থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় লালবাজারে। নামে  র‍্যাফ। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আরজু ও সলমন খানের গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই এলাকায় নিয়মিত ভাবে সাট্টা ও জুয়ার কারবার চলে। তার সঙ্গে চলে তোলাবাজিও। তাঁদের দাবি, প্রয়সই একে অপরের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ তোলে দু’ পক্ষ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই নিয়েই অশান্তি শুরু হয়েছিল। শুক্রবার তা চরম আকার ধারণ করে। দফায় দফায় শুরু হয় উত্তেজনা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, “এই এলাকায় রোজই এই নিয়ে ঝামেলা হয়। তাই নতুুন কিছু ছিল না। কিন্তু, এভাবে আচমকা যে হঠাৎ বেড়ে যাবে তা আর বুঝতে পারিনি। ওরা তো পুলিশকেও মারতে গিয়েছিল ইট-পাটকেল নিয়ে। নিজেদের মধ্যে মারপিট করে নিজেরাই মরেছে।” যদিও, আরজু খান  ও সলমন খান গোষ্ঠীর তরফে কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনায় ওই পাঁচ আহতকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যে দুজনের অবস্থা গুরুতর তাঁদের  বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কেন আচমকা অশান্তি এত বড় আকার নিল তা খতিয়ে দেখছে লালবাজার।  যে তিনজনকে  রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জেরা করা হচ্ছে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পর থমথমে আনোয়ার শাহ রোড। এলাকাবাসীর দাবি, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই দ্রুত তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক প্রশাসন।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee on IAS Cadre Rules: ‘টিপটাপ, চুপচাপ আইপিএসদের তুলে নিয়ে চলে যাবে…মগের মুলুক নাকি!’