DA Protest: স্লোগান vs গান! DA আন্দোলনকারীদের কণ্ঠ দাবাতেই কি তৃণমূলের ২৫ বৈশাখ মহড়া?
DA Protest: সূত্রের আজ দুপুর নাগাদ স্লোগান দিতে-দিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সরকারি কর্মচারিরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অদূরেই রয়েছে 'জয়-হিন্দ' কমিউনিটি হল।
কলকাতা: গলায় স্লোগান। শ’য়ে-শ’য়ে মানুষ হাঁটছেন কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার দাবিতে। সরকারি কর্মীদের জমায়েতে কার্যত অবরুদ্ধ হাজরা। শনিবার সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছ দিয়েই মিছিলে হাঁটলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তবে এখানেও উঠল অভিযোগ। অভিষেকের বাড়ির সামনে মহামিছিল পৌঁছতেই তারস্বরে বাজানো হল মাইক। চলল রবীন্দ্র-সংগীত। আন্দোলনকারীদের স্লোগান ঢাকতেই এইভাবে জোরে-জোরে মাইক বাজানো হয়েছে বলে দাবি সরকারি কর্মীদের। পাল্টা তৃণমূলের যুক্তি, রবীন্দ্র জয়ন্তী সপ্তাহ পালন করছে তারা।
সূত্রের আজ দুপুর নাগাদ স্লোগান দিতে-দিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সরকারি কর্মচারিরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অদূরেই রয়েছে ‘জয়-হিন্দ’ কমিউনিটি হল। সেইখান থেকে তারস্বরে বাজানো হয় রবীন্দ্র সংগীত। অভিযোগ, যে চোঙা থেকে প্রথম মৃদুস্বরে রবীন্দ্র-সংগীত বাজছিল সেখানেই আওয়াজ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই কমিউনি হলের এক সদস্য বলেন, “২৫ বৈশাখ সামনেই আসছে। এটা কবিগুরুর মাস। তারই প্রাক মহড়া হিসাবে এটা বাজছে। গতকাল সন্ধ্যেবেলা থেকে এই গান বাজাচ্ছি। এটা চলতে থাকবে। প্রায় পাঁচ থেকে ছ’দিন ধরে চলবে।”
তবে এরপরও যে আন্দোলনকারীদের দমানো যাবে তা আবার স্পষ্ট করে জানালেন এক বিক্ষোভকারী। সরকারি কর্মচারি বলেন, “সবাই বুঝতে পারছে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত করে পরিকল্পিতভাবে মাইক বাজানো হচ্ছে।” আরও এক আন্দোলনকারী বলেন, “এইভাবে রবীন্দ্র সংগীত চালিয়ে গণ-সংগীতকে আটকানো যাবে না।” অপর বিক্ষোভকারীর দাবি, “এই সরকার পুরোটাই ভাওতা। সরকার ভাওতাবাজি দিতেই চলছে।” আর এক আন্দোলনকারী বলেন, “একবার ক্যামেরায় দেখান কীভাবে গান বাজাচ্ছে। এইভাবে আন্দোলনকারীদের কখনও থামনো যায়নি। যাবেও না।”