Dilip Ghosh: অধীরদা যাই বলুন, কংগ্রেস দধীচির মতো বলিদান করে তৃণমূলকে গড়েছে
Dilip Ghosh on Adhir Chowdhury: "কংগ্রেস নিজে দধীচির মতো বলিদান করে তৃণমূলকে গড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর কথা মেনে কংগ্রেস মুক্ত ভারত হচ্ছে হয়ত!''
কলকাতা: কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্রে ভোট প্রচারে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। অধীর বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন এই জল্পনা চাগিয়ে দিয়ে তাঁর রোষানলে পড়েছিলে। এদিন ফের কংগ্রেস নেতার মন্তব্য প্রসঙ্গে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিজেপি নেতা। তাঁর কটাক্ষ, কংগ্রেস দধীচির মতো বলিদান করে তৃণমূলকে গড়ছে। সেটা অধীর চৌধুরীরা মানুন আর নাই মানুন।
উল্লেখ্য, ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোট প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে বিঁধেছেন মমতা। তাঁর দলের মুখপত্র থেকেও কংগ্রেস পচা ডোবা আর তৃণমূলকে সাগরের সঙ্গে তুলনা করা হয়। যার প্রেক্ষিতে এদিনই নরমে-গরমে জবাব দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, স্বয়ং সনিয়া গান্ধীর ইচ্ছাতেই ভবানীপুরে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। বিজেপি বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সদিচ্ছা থেকেই যে এই সিদ্ধান্ত, সেটাই ইঙ্গিত করেন তিনি। কিন্তু তার পরেও কংগ্রেসকে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন আক্রমণে স্বভাবতই তাঁরা বিস্মিত। এই প্রেক্ষিতে টিপ্পনী কাটলেন দিলীপ ঘোষ।
সোমবার বিকালে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর কটাক্ষ, “কংগ্রেস নিজে দধীচির মতো বলিদান করে তৃণমূলকে গড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর কথা মেনে কংগ্রেস মুক্ত ভারত হচ্ছে হয়ত!” প্রসঙ্গত, পুরাণে দধীচি মুনি অসুর নিধনে সাহায্যের জন্য নিজের অস্থি দিয়ে বজ্র নির্মাণকল্পে স্বেচ্ছায় দেহত্যাগ করেছিলেন।
পাশাপাশি এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে নিশানা করে বিজেপি নেতা আরও বলেন, “কোথায় কী সবাই দেখছে। কংগ্রেস তো প্রার্থী দেয়নি। আর অধীরদা কী বলছেন, লোকে দেখে ভরসা পাচ্ছে না।”
প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই ভবানীপুরে ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষ। তার অব্যবহিত পরে সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাতেই এই সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, ভোট করার পরিস্থিতি নেই ভবানীপুরে। তাঁরা কমিশনে ভোট মুলতুবি রাখার আবেদন করছেন। তার পর ফের মমতাকে কটাক্ষ করেন দিলীপ। বলেন, “আমাদের প্রতিনিধিরা দু’ জায়গাতেই জয়ী হয়েছেন। একটা পদ বেছে নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’ জায়গায় হারলে কত জায়গায় ভোট হবে?” পাশাপাশি শান্তিপুর, দিনহাটায় আবার ভোট কেন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এদিকে এদিন বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেখানে আবার তিনি তৃণমূল বিজেপির গোপন বোঝাপড়া রয়েছে বলে দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় এজেন্সি নোটিস পাঠাতেই উনি (মমতা) সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে মোদীর কাছে ভিক্ষা চেয়েছেন ভাইপোর যাতে কিছু না হয়।’ যার কয়েক ঘণ্টা পরে তৃণমূল ও কংগ্রেস, দুই দলকে বিঁধে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: Adhir Chowdhury: ‘সনিয়াই মমতার বিরুদ্ধে ভবানীপুরে প্রার্থী দিতে দেননি, সেই কংগ্রেসকেই আক্রমণ!’