Dilip Ghosh On TMC Agitation: ‘ওসব ক্যামেরায় মুখ দেখিয়ে টিকিট পাওয়ার চেষ্টা’, রাজ্য অফিসে তৃণমূলের বিক্ষোভকে ‘ডোন্ট কেয়ার’ দিলীপের

Dilip Ghosh On TMC Agitation: সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই গতকালের তৃণমূলের বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দিলীপ ঘোষকে। তবে তিনি এই বিক্ষোভ ও বিক্ষোভকারীদের বিশেষ গুরুত্ব দিতেই নারাজ।

Dilip Ghosh On TMC Agitation: 'ওসব ক্যামেরায় মুখ দেখিয়ে টিকিট পাওয়ার চেষ্টা', রাজ্য অফিসে তৃণমূলের বিক্ষোভকে 'ডোন্ট কেয়ার' দিলীপের
তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2021 | 8:48 AM

কলকাতা: “আসলে ওসব ক্যামেরায় মুখ দেখানোর চেষ্টা।” ত্রিপুরার ঘটনার প্রতিবাদে ৬ নম্বর মুরলীধর সেনের রোডের বিজেপির রাজ্য অফিসে মমতা-অভিষেকের ছবি লাগিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভকে আমলই দিলেন না বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

অনান্য দিনের মতো মঙ্গলবারও নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই গতকালের তৃণমূলের বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দিলীপ ঘোষকে। তবে তিনি এই বিক্ষোভ ও বিক্ষোভকারীদের বিশেষ গুরুত্ব দিতেই নারাজ।

দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়, তৃণমূল তো বিজেপি মুরলিধর সেন লেনের পার্টি অফিসকে টার্গেট করেছে! সেখানে নিয়মিত তৃণমূল বিক্ষোভ করছে। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এটা ভোটের টিকিট পাওয়ার চেষ্টা। ক্যামেরায় মুখ দেখানো। যদি টিকিট পাওয়া যায়।”

প্রসঙ্গত, রবিবার সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে ত্রিপুরার আঁচ এসে পড়ে কলকাতায়। সোমবার সকালে ৬ নম্বর মুরলীধর সেনের রোডের বিজেপির রাজ্য অফিসে মমতা-অভিষেকের ছবি লাগিয়ে দেয় তৃণমূল। পাল্টা পতাকা হাতে হাজির বিজেপি কর্মীরাও। বিজেপির রাজ্য অফিসে ব্যারিকেড করে রেখেছে পুলিশ। পাল্টা বিজেপির তরফেও শুদ্ধিকরণ করা হয়।

বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, তৃণমূল কর্মীদের পা পড়ায়, তাঁদের রাজ্য দফতর অপবিত্র হয়েছে। তাই শুদ্ধিকরণের প্রয়োজন। তাই জন্য রাজ্য দফতরের সামনে গঙ্গাজল ছেটানো হয়।

বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, “ত্রিপুরার বিষয় ত্রিপুরাতে। এখানে কেন তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন? ” সূত্রের খবর, কিছুক্ষণের মধ্যেই দফতরে পৌঁছবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির সজল ঘোষের বক্তব্য, “ছোটোলোকের দলের থেকে ভদ্রতা আশা করাটাই অপরাধ। ছোটোরা ছোটো কাজই করবে। যে কাজ আজকে ওঁ করেছেন, সেখানেই এ ধরনের ঘটনা ঘটবে।” তাঁর বক্তব্য, “সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে পুলিশ যে পদক্ষেপ করেছে, সেটাই উচিত। এখানে তো গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত হচ্ছে।” দফতরে এসে পৌঁছেছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।

সোমবার সকালে তৃণমূলের একটি দল এসে পৌঁছয় বিজেপির রাজ্য দফতরে। দফতরে লাগিয়ে দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।

বিক্ষোভকারী তৃণমূল নেতা বলেন, “বাংলার গণতন্ত্র রয়েছে। আজকে বিজেপির পার্টি অফিসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে দিয়ে আমরা প্রমাণ করে দিলাম, তৃণমূল চাইলে বাংলায় বিজেপি পার্টি অফিস নাও খাকতে পারত। কিন্তু তৃণমূল সেটা করবে না। তৃণমূল গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।” সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে মামলার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে বিপ্লব দেবের নির্দেশে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে ওখানে সভা করতে না পারেন, তার জন্য বিমানবন্দরে মিথ্যা বোমাতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে।”

বিজেপির সদর দফতরের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তৃণমূলের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “বিজেপির পার্টি অফিস তৃণমূল দখল করে নিতেই পারে। সেই সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ তৃণমূল দখলদারিতে বিশ্বাসী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় বলতে গেলে তৃণমূলই ত্রিপুরায় একটি বহিরাগত দল। ওরা আগে ওখানে সংগঠন তৈরি করুক। তারপর তো আন্দোলন। ত্রিপুরায় তো কোনও স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে দেখা যায় না। দেখা যায় সায়নী ঘোষ, কুণাল ঘোষেদের। কিন্তু ওঁরা কেন ওখানে গিয়েছেন? ওখানে গুন্ডাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। এর আগে পুলিশ গিয়ে আমাদের অফিস ঘেরাও করে দিয়েছে। এখন গুন্ডাবাহিনী পাঠিয়ে করা হয়েছে। ”

আরও পড়ুন: Weather Update: কুয়াশায় ঢেকেছে শহর, ফের নামতে শুরু করছে পারদ! কবে থেকে জাঁকিয়ে শীত বঙ্গে?