Doctor Arrested On Fraud Case: ১২ কোটি টাকার প্রতারণা! ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসক গ্রেফতার

Doctor Arrested On Fraud Case: প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চিকিত্সক উত্তমকুমার। বাইরেও প্র্যাকটিস করেন তিনি।

Doctor Arrested On Fraud Case: ১২ কোটি টাকার প্রতারণা! ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসক গ্রেফতার
প্রতারণার অভিযোগে ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চিকিত্সক গ্রেফতার (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2021 | 2:19 PM

কলকাতা: শহরে প্রতারণার নয়া নজির। এবার ১২ কোটি টাকা প্রতারণার (Fraud Case) অভিযোগ গ্রেফতার ক্যালকাটা স্কুল অফ্ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের (Calcutta School Of Tropical Medicine) চিকিত্সক। ধৃতের নাম উত্তম কুমার লেংকা। প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চিকিত্সক উত্তমকুমার বাইরেও প্র্যাকটিস করেন। ধৃতকে আজ আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছে, ভুবনেশ্বরের একটি সংস্থায় বিনিয়োগের নাম করে ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অন্য কয়েকজন চিকিত্সকের থেকে ১২ কোটি টাকা নিয়েছিলেন উত্তমকুমার। মোটা টাকা সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছু দিন ধরেই সহকর্মীদের কাছে থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। মোটা সুদে টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কয়েকজনকে কিছু টাকা ফেরত দিয়েছিলেন, তবে সকলকে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, অগাস্টেই প্রতারণার অভিযোগে আরও এক বড় চিকিত্সক তদন্তকারীদের জালে পড়েন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচ্চপদে কর্মরত, ভুয়ো পদ ভাঙিয়ে এক চিকিত্সকের সঙ্গে ২৪ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল দিল্লির এক চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। দিল্লির রাজৌরি থানার পুলিশ সল্টলেক থেকে অভিযুক্ত চিকিত্সককে গ্রেফতার করে। প্রতারণার পর সল্টলেকেই আত্মগোপন করেছিলেন অভিযুক্ত চিকিত্সক নবীনকুমার শর্মা। তিনি আদতে হরিয়ানার বাসিন্দা।

নবীনকুমারের সঙ্গে দিল্লির এক চিকিত্সকের পরিচয় হয়। তিনি তাঁকে বলেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকে উচ্চপদে কর্মরত। দিল্লির বাসিন্দা ওই চিকিত্সক ছেলেকে পিজি ডিপ্লোমাতে ভর্তি করাতে চেয়েছিলেন। সেই বিষয়ে নবীনকুমারের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন তিনি।

নবীনকুমার তাঁর বিশ্বাস অর্জন করেন। ওই চিকিত্সককে আশ্বাস দেন, প্রভাব খাটিয়ে তিনি তাঁর ছেলেকে ডিপ্লোমাতে ভর্তি করিয়ে দেবেন। এরপর টাকার দরকার। এরপর বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে ২৪ লক্ষ টাকা নবীনকুমারকে দেন চিকিত্সক।

অভিযোগ, এরপরই নবীনকুমার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তাঁর ফোনও নট রিচেবল হয়ে যায়। এরপর ২০২০ সালে দিল্লির রাজৌরি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে দিল্লির রাজৌরি থানার পুলিশ।

দীর্ঘদিন পর পুলিশ খবর পায় যে, কলকাতার সল্টলেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। এরপরই বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দক্ষিণ থানার পুলিশের সহযোগিতায় সল্টলেক থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত নবীনকুমার শর্মাকে।

অন্যদিকে, আজই সোনা পাচারের অভিযোগে পলাতক ব্যবসায়ী সঞ্জয় আগরওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকার সোনা এনেছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করছে। ইডি কলকাতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক ছিলেন তিনি। তাঁর খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। অবশেষে সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: Attack on BJP workers: হিঁচড়ে বার করে আনা হচ্ছে ছেলেকে, বাঁচাতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ বৃদ্ধাও! বারাবনিতে ফের ‘হামলা’র শিকার বিজেপি

আরও পড়ুন: Kolkata Drug Smuggling: দুধ সাদা গাড়ির জানলার কাচ নামাতেই রঙিন দুনিয়ার পর্দাফাঁস, বর্ষবরণের আগে পাব-নাইট ক্লাবে আসর জমাত ওঁরাই