Durga Puja 2021: যত কাণ্ড ‘বুর্জ খলিফা’তেই! এবার ট্রেন পরিষেবাতেও পড়ল কোপ
Durga Puja 2021: প্রতিবছরই নজর কাড়ে শ্রীভূমি। প্রত্যেকবারের মণ্ডপ ও আলোকসজ্জায় থাকে বিশেষত্ব। কিন্তু এবার 'বুর্জ খলিফা'র আদলে মণ্ডপ ও আলোকসজ্জা তৈরি করে সকলকে চমকে দিয়েছে শ্রীভূমি।
কলকাতা: যত কাণ্ড সেই শ্রীভূমিতেই। ভিড়ের চাপে বেসামাল শ্রীভূমি। অষ্টমীতে বন্ধ ‘বুর্জ খলিফা’। শ্রীভূমির ভিড় ঠেকাতে ট্রেন পরিষেবাতেও পড়ল কোপ। বিধাননগর স্টেশনে দাঁড়াবে না ডাউন ট্রেন। পুলিশের অনুরোধ মেনে সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের। নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবও। নবমী থেকে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল শ্রীভূমির পুজোর দরজা।
অষ্টমীতে মাঝরাত গড়ানোর পরই সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তাদের উপস্থিতিতে দমকলমন্ত্রী তথা পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা সুজিত বসু জানিয়ে দেন, আজ, অর্থাত্ নবমী থেকে কোনও দর্শনার্থী শ্রীভূমি পুজো মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন না। তবে পুজোর অনান্য উপাচার স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।
প্রতিবছরই নজর কাড়ে শ্রীভূমি। প্রত্যেকবারের মণ্ডপ ও আলোকসজ্জায় থাকে বিশেষত্ব। কিন্তু এবার ‘বুর্জ খলিফা’র আদলে মণ্ডপ ও আলোকসজ্জা তৈরি করে সকলকে চমকে দিয়েছে শ্রীভূমি। প্রত্যেকবারই মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে যায় দর্শনার্থীদের ভিড়। গতবার মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস একটু হলেও কম ছিল। কিন্তু এবার তা ফের মাত্রা ছাড়িয়েছে। তবে এবার শ্রীভূমির নাম নানা কারণেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে বারবার।
পুজোর মধ্যেই লেকটাউন শ্রীভূমি থেকে সন্দেহভাজন দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে আধার কার্ড ও তিনটি ব্যাঙ্কের পাসবুক উদ্ধার করে লেকটাউন থানার পুলিশ। তাঁদের জেরা চলছে। কেন একজন ওপার বাংলার নাগরিক রাজারহাটের লাঙ্গলপোতায় থাকছিলেন? কেনই বা নামের কারসাজি করে একই এলাকার তিনটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুললেন? কী উদ্দেশে মন্ত্রীর বাড়ির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন, এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
তবে শ্রীভূমির ভিড় সামলাতে এবার হিমশিম খেয়েছে প্রশাসন। অষ্টমীর রাতে প্রায় ৮ টা নাগাদ হঠাৎই বুর্জ খলিফার বাইরের কাঠামোর সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। আলো বন্ধের কিছু আগেই শ্রীভূমি পুজো মণ্ডপের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন, এই পুজোর অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা সুজিত বসু। তাঁরা পুজো মণ্ডপ চত্বরে আসার কিছু পরেই আচমকা সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় বুর্জ খলিফার। সপ্তমী থেকেই যা ভিড় হয়েছিল শ্রীভূমির সামনে, তাতে কার্যত পদপৃষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
শ্রীভূমির পুজোর অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। তাঁকে আলো নিভে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী জানান, “সব আলো বন্ধ হয়নি। বাইরের কাঠামোর আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে আপাতত। মানুষের যে ভিড় এসেছে, সেই ভিড় যাতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তার জন্যই আলো নিভিয়ে রাখা হয়েছে।”